আমাদের ভারত, ৭ জানুয়ারি: স্বামী জীবিত, অথচ সরকারি নথিতে স্ত্রী ‘বিধবা’! মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় এখন জালিয়াতি দ্বারা সবই সম্ভব বাংলায়। মঙ্গলবার এমনটাই অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার।
তিনি এক্সবার্তায় লিখেছেন, “এমন আশ্চর্য ঘটনা শুধুমাত্র একটি-দুটি নয়। প্রকাশ্যে না এলেও অধিকাংশ জেলাতেই নিচু স্তরের তৃণমূলের প্রতারক নেতারা এমন বহু ঘটনা ঘটিয়ে চলেছেন, যার জেরে প্রতিনিয়ত সাধারণ দরিদ্র মহিলারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সঙ্গে তাঁদের অপমানও করা হচ্ছে অযথা হেনস্থার দ্বারা।”
এই জালিয়াতির কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, “সরকারি প্রকল্পের টাকা লুঠ করতে এটিও দুর্বৃত্ত তৃণমূল নেতাদের একটি ফন্দি। কিভাবে সরকারি কোষাগার চালাকির দ্বারা লুঠ করে তার দায় অসহায় মানুষদের ঘাড়ে চাপানো যায়, তার ফাঁদ এখন জেলায় জেলায় পাততে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের লুঠেরারা।”
তৃণমূলের সর্বময় কর্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে এই ধরণের জালিয়াতির জন্য দায়ী করে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, “একদিকে রাজ্যের অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানিক লুঠের সংস্কৃতি, অন্যদিকে তোষণের ভোটব্যাঙ্কের জন্য দান-খয়রাতি আর সরকারি কোষাগারের অর্থের শ্রাদ্ধ করে অজস্র খেলা-মেলার আয়োজন…। বাংলাকে ক্রমশ অর্থশূন্য করে এবার কি রাজ্যবাসীকে ভিক্ষাপাত্র হাতে পথে বসানোর চক্রান্ত?”