Sukanta, BJP, মৃতদের নাম কেন বাদ যাচ্ছে না? দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানালেন সুকান্তরা

আমাদের ভারত, ১১ মার্চ: বাংলায় ১৭ লক্ষ ভুয়ো ভোটারের তালিকা রয়েছে বলে দাবি করেছিল রাজ্য বিজেপি। পাল্টা এপিক নাম্বার নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তারপর থেকেই ভূতুড়ে ভোটার ইস্যুতে তোলপাড় হয়ে যায় রাজ্য রাজনীতি। এবার এই ভূতুড়ে ভোটার ইস্যু পৌছালো দিল্লিতে। সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে রাজ্য বিজেপির দশজন সাংসদ আজ দেখা করেন। ভূতুরে ভোটার ইস্যু ও হিংসা ইস্যু সহ একাধিক অভিযোগ নিয়ে কমিশনে অভিযোগ জানান সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপি সাংসদরা।

ভূতুড়ে ভোটার ইস্যু নিয়ে সুকান্ত মজুমদার প্রশ্ন তুলে বলেন, কারা মারা যাচ্ছে শ্মশানে, কবর স্থানে ডেটা এন্ট্রি হওয়ার পরেও কেন সেই নামগুলি বাদ যাবে না? তিনি আরো বলেন, ডুপ্লিকেট এপিক বলে তৃণমূল জলঘোলা করার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, “আমি আগেই বলেছিলাম, আমার নামে যদি আপনার সঙ্গে আমার এপিক কার্ড এক হয় আপনি আমার বুথে ভোট দিতে পারবেন, আমি আপনার বুথে ভোট দিতে পারব। এটা অত বড় সমস্যা নয়। জল ঘোলা করে তিনি অন্য জায়গায় বিষয়টিকে নিয়ে যেতে চাইছেন। সমস্যা যদি দুটো বিধানসভায় আমার নাম থাকে আমার ছবি থাকে। আমি প্রথম দফায় এক জায়গায় ভোট দিলাম, পরের দফায় অন্য জায়গায়। প্রথম দফায় দিলাম উত্তরবঙ্গে আর তৃতীয় দফায় ভোট দিলাম দক্ষিণবঙ্গে। হয়ে গেল কাজ। এইটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”

পাল্টা প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ভোটার তালিকা কারা তৈরি করে? সিইও তৈরি করে। সিইও কিভাবে নিয়োগ হয়? মুখ্যমন্ত্রী তিনটে নাম পাঠান সেখান থেকে এনারা একটা নাম বেছে নেয়। সিইওর নিচে কাজ করেন ডিএম। ডিএম এর নিচে কাজ করে এসডিও ও বিডিও। বলুন এর মধ্যে কোনো বিজেপির লোক আছে? সবাই তো দিদিমণির লোক।”

শেষে সুকান্ত মজুমদার আরো বলেন, নির্বাচনের সময় বাংলায় হিংসার বাতাবরণ তৈরি হবার কারণে অন্যান্য রাজ্যে যেভাবে ভোটার লিস্ট সংশোধিত হওয়া সম্ভব সেটা বাংলায় সম্ভব হচ্ছে না। সেইজন্য আমরা চেয়েছি বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্বাচন কমিশনের লোক পুরো বিষয়টি দেখুন। আমরা অত্যন্ত সিরিয়াস এই ব্যাপারে। নির্বাচন কমিশন আশ্বস্ত করেছে ভুয়ো লোকজন বাদ যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *