সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১১ মার্চ: দুদিন আগেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করেন হাবড়া ‘অপরাধশূন্য’। শনিবার বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে কর্মসূচিতে যোগ দিতে এলাকায় এসেছিলেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, “আমি যখন হাবড়ায় এসেছিলাম, শপথ নিয়েছিলাম যে হাবড়া ক্রাইম জ়িরো করব। আর সেটা আমি করেছি। তার দুদিন কাটতে না কটতেই জাল নথির মাধ্যমে অন্যের জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন তৃণমূলের এক নেতা। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার ঘটনা। ধৃতের নাম জয়দেব ওঝা। এক সময়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন তৃণমূলের জয়দেব। তাঁর বিরুদ্ধে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে হাবড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন কুমড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের খারো এলাকার বাসিন্দা বরুণ দত্ত। তিনি বলেন, “আমার পৈতৃক সম্পত্তি জাল নথি দিয়ে নিজের নামে করে নিয়েছে জয়দেব।”
ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে হাবড়া থানার পুলিশ। সোমবার তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হন। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রায় দেড় বিঘা জমি নিজের নামে করার জন্য দলিল জাল করে রেকর্ড বার করেছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। তাঁকে গ্রেফতারের পর সোমবারই হাজির করানো হয় বারাসত আদালতে। হাবড়া-ফুলতলা এলাকায় ৫১ শতক জমির মালিক ছিলেন জগৎবন্ধু দত্ত। ১৯৯৭ সালের পর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। সেই জমিই নিজের নামে করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩২৯/৩, ৩১৮/৪, ৩৩৬/২, ৩৩৮, ৩৪০/৩ ধারায় মামলা রুজু হয়। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হয়েছে। ধৃতকে সাত দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।
ইতিমধ্যে এ নিয়ে কটাক্ষ শুরু করেছে বিজেপি। পদ্ম শিবিরের নেতা বিপ্লব হালদার বলেন, “হাবড়ার বিধায়কও দুর্নীতিগ্রস্ত। তৃণমূল নেতার গ্রেফতারির কথায় মনে হচ্ছে, পুলিশের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে।”
অন্যদিকে, স্থানীয় তৃণমূল নেতা পুলক চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “আইন আইনের পথে চলবে। কেউ যদি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে তিনি সাজা পাবেন। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। আর দল এই রকম কাজে প্রশ্রয়ও দেয় না।”