আমাদের ভারত, ১৭ মার্চ: সোমবার সাত সকালে শিয়ালদহ স্টেশনে হাটেবাজারে এক্সপ্রেস থেকে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। প্রাথমিক তদন্তে জানাগেছে, প্রতিবেশী রাজ্য বিহার থেকে আগ্নেয় অস্ত্রগুলি নিয়ে আসা হচ্ছিল। আর এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার প্রশ্নে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনার দু-দুটি ভিডিও পোস্ট করে সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষের সুরে লিখেছেন, “বোমা আর বন্দুকের স্বর্গ কলকাতায় স্বাগতম। মুখ্যমন্ত্রীর অপরাধীকরণ নীতির অধীনে পশ্চিমবঙ্গ এখন বহিরাগত অপরাধীদের জন্য উন্মুক্ত খেলার মাঠে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি নির্বাচনের আগে, এই ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট জালিয়াতির জন্য অপরাধীদের আশ্রয় খোঁজেন, যা তাদের “কোনও চিন্তার কারণ নেই” মনোভাবের জন্ম দেয়।
তিনি আরো লিখেছেন, রাজ্যের অলিগলিতে অস্ত্র উদ্ধার নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজ সকালেও, মালদহ-ভিত্তিক এক অপরাধী কলকাতার প্রবেশপথ শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র সহ ধরা পড়ে। মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উভয়েরই দায়িত্ব, অবিলম্বে এই অপরাধীকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়ার।
তিনি তাঁর পোস্টে প্রশ্ন তুলেছেন, “তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার লড়াই যখন তুঙ্গে, তখন শিয়ালদহে এক অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই অস্ত্র সরবরাহের পেছনে কি কোনো শিয়ালদহ ভিত্তিক তৃণমূল কাউন্সিলর রয়েছেন? সত্য বেরিয়ে আসতে হবে। এই বিশাল অস্ত্র মজুদের অর্ডার কে দিয়েছে?”
প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে খাস কলকাতায় উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে এসটিএফ কলকাতা পুলিশ এই অস্ত্র উদ্ধার করেছে। ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। সোমবার ভোর পাঁচটা নাগাদ শিয়ালদহ স্টেশনে হাটে বাজারে এক্সপ্রেস পৌঁছতেই তল্লাশি অভিযান শুরু করে এসটিএফ। তখনই এক যুবককে দেখে তদন্তকারীদের সন্দেহ হয়। তার ব্যাগ খুলতেই জামা কাপড়ের তলা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে আটক করে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম হাসান শেখ। সে মালদার কালিয়াচকের বাসিন্দা। তার ব্যাগ থেকে ছটি আগ্নেয়াস্ত্র আর ৮টি কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। বিহারের মান সিংহ জেলা থেকে আগ্নেয়াস্ত্রগুলি সড়কপথে মালদহে নিয়ে আসা হয়। এরপর হাটেবাজারে এক্সপ্রেসে শহরে পৌঁছায়। কোথায় আগ্নেয়াস্ত্র সে নিয়ে যাচ্ছিল এর ভেতরে আর কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।