আমাদের ভারত, ৪ জুন: ভারতের ভয়ে পাকিস্তানের ঘুম উড়েছে। ভারতীয় বায়ু সেনার প্রত্যাঘাতে রীতিমত আতঙ্কিত ইসলামাবাদ। মঙ্গলবার রাত থেকে ভারত-পাক সীমান্তে ধরা পড়েছে পাক যুদ্ধ বিমানের তৎপরতা। আইপিএলের মতো বড় ইভেন্ট চলাকালীন ভারত হামলা করতে পারে বলে পাক বায়ুসেনার আশঙ্কা ছিল। তাই ভয়ে তৎপর হয়ে ওঠে পাক বায়ুসেনা।
৭মে মকড্রিলের কথা বলে ৬ মেয়ে অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছিল ভারতীয় বায়ু সেনা। সেই আতঙ্কই এখনো পর্যন্ত তাড়া করছে পাকিস্তানকে। তাই যে কোনো বড় ইভেন্টের আড়ালে গোটা বিশ্ব বা দেশবাসীর চোখ ঘুরিয়ে রেখে আবার পাকিস্থানে হামলা করতে পারে ভারত এই ভয় বুক কাঁপছে পাকিস্তানের। সেই কারণে আইপিএলের ফাইনালের দিন গুজরাটে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে যখন গোটা দেশ ও বিশ্বের নজর ছিল, তখন পাকিস্তান বায়ু সেনা চুপ করে বসে থাকতে পারেনি। আতঙ্কে পাকিস্তানের বায়ু সেনা একের পর এক যুদ্ধবিমান আকাশে উড়িয়েছে। ভারতের রাডারে ধরা পড়েছে পাক বিমান জে এফ ১৭, এস ১৬, আই এল ৭৮- এর গতিবিধি।
পাশাপাশি পাক নজরদারি ড্রোন পি ২৪, পাকিস্তানের বিভিন্ন বায়ু সেনাঘাঁটিতে উড়তে থাকে। পাকিস্তানের মোট চারটি বায়ু সেনাঘাঁটিতে মাঝরাত পর্যন্ত যুদ্ধবিমান এবং ড্রোনের আনাগোনা দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, বায়ুসেনা রাডারে যুদ্ধ বিমান গুলির অতি সক্রিয়তা ধরা পড়তেই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সক্রিয় করা হয়। নর্দান কমান্ডের বেশ কয়েকটি বায়ু সেনা ঘাঁটির বিমানকেউ তৈরি থাকতে বলা হয়েছিল। তৈরি রাখা হয়েছিল এস-৪০০- র মতো ভারতের অন্যতম এয়ার সিস্টেমকেও।
তবে নিজেদের আকাশ সীমার বাইরে পাকিস্তানের যুদ্ধ বিমান বের হয়নি। ভোর সাড়ে তিনটে পর্যন্ত পাকিস্তানের যুদ্ধ বিমান নিজেদের আকাশেই চক্কর খেয়েছে। অপারেশন সিঁদুর এখনো শেষ হয়নি সেটা সরাসরি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সম্ভবত সেই বার্তাও তাদের ভয়ের অন্যতম কারণ।
সীমান্ত পরিস্থিতি যে এখনো উত্তপ্ত সেটা পাক বায়ু সেনার এই অতি সক্রিয়তা এবং ভারতীয় বায়ুসেনা পাক সীমান্ত অংশে মহড়াতে প্রমাণ হয়েছে। শুধু ভারতের কাছে নয়, পাকিস্তানের উপর চাপ তৈরি করেছে মার্কিন সেনাও। কারণ পাকিস্তানের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ইমতিয়াজ গুল দাবি করেছেন, পাকিস্তানে নূর খান বায়ু সেনা ঘাঁটি মার্কিন সেনা দখল নিয়েছে। সেখানে পাক সেনা আধিকারিকদেরও প্রবেশের অনুমতি নেই।