পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ মার্চ: লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরেই দলীয় প্রার্থীরা নিজেদের মতো করে প্রচারে নেমে পড়েছেন। মেদিনীপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া প্রচারে নেমে পড়েছেন। মঙ্গলবার সকালে বাংলার অধিকার যাত্রার সূচনা করে দাঁতন ২নং ব্লকের সাউরি চন্ডী মন্দিরে আশীর্বাদ প্রার্থনা করে দলীয় প্রচার শুরু করেন।
কয়েকদিন আগেই জেলা সফরে এসে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে, মেদিনীপুরের ৬.১০ লক্ষেরও বেশি MGNREGA শ্রমিকরা রাজ্য সরকারের মাধ্যমে ২৮২ কোটি টাকার বেশি তাদের বকেয়া মজুরি পেয়েছেন। “জেলার ১১.৯৯ লক্ষেরও বেশি মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সহায়তা পেয়েছেন, যেখানে ১৮.২১ লক্ষেরও বেশি মেয়ে কন্যাশ্রীর সুবিধাভোগী হয়েছেন। জেলার ৪৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ বিনামূল্যে রেশন পেয়েছেন। ৩৮,০০০ এরও বেশি সুবিধাভোগী জয় জোহর প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন যেখানে ৫৩,০০০ জন উপকৃত হয়েছেন তপশিলি বন্ধু প্রকল্প থেকে। বিজেপির রিপোর্ট কার্ড কোথায়?”
দাঁতনের একটি সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বলেন, “মেদিনীপুরের সাংসদের দায়িত্বের মধ্যে তো এটাও পড়ে যে, তার লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ ১০০ দিনের টাকা ও আবাস যোজনার টাকা পাচ্ছে কিনা সেটা দেখার, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তিনি বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। উনি তো দিল্লি গিয়ে নিজের কেন্দ্রের সাধারণ মানুষের বঞ্চনার কথা তুলে ধরতে পারতেন। ওনার তো প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে অনেকের সাথেই ভালো সম্পর্ক, কিন্তু বলেননি। আমি দিল্লিতে আপনাদের সমস্ত বঞ্চনার কথা তুলে ধরবো। আমাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে দায়িত্ব দিয়েছে তা পূরণ করার আপ্রাণ চেষ্টা করবো।”
এদিনের প্রচারে তার সঙ্গে ছিলেন দাঁতনের বিধায়ক বিক্রম চন্দ্র প্রধান। তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়াকে দেখে কার্যত সেলফি তুলতে ভিড় জমান সাধারণ মানুষ। এরপর তিনি জনসংযোগের জন্য একটি চায়ের দোকান যেখানে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের বোঝার চেষ্টা করেন। এমনকি সেই ভিডিওটা তিনি তার ফেসবুকের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শেয়ারও করেন। কাশমূলী কলেজের কাছে মেদিনীপুরের প্রার্থীর কনভয় পৌঁছলে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা তাকে ঘিরে স্লোগান দিতে থাকে “কাশমূলী কলেজ বলছে, জুন মালিয়া জিতছে।”