আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ২১ ডিসেম্বর: গত ২ অক্টোবর মহালয়ার ভোর রাতে বাজি ফাটানোকে ঘিরে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গন্ডগোলের সৃষ্টি হয়েছিল নৈহাটির ঋষি বঙ্কিম চন্দ্র কলেজ লাগোয়া এলাকায়। দু’পক্ষের মারপিটে জখম ৩৬ বছরের অজয় প্রসাদের মৃত্যু হয়েছিল ঘটনার তিন দিন বাদে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র নেতা দেবতনু মুখার্জি ওরফে ঋষি এবং অভিজিৎ সাহা ওরফে বাবনকে গ্রেপ্তার করেছিল নৈহাটি থানার পুলিশ। শুক্রবার জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরই ঋষি ও বাবন ঋষি বঙ্কিম চন্দ্র কলেজে ঢোকে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের সঙ্গে ঋষি বঙ্কিম চন্দ্র কলেজে ঢোকে ঋষি। ঋষি ও বাবন কলেজে ঢুকতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রেল কলোনির বাসিন্দারা। তাঁরা কলেজের গেট আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। গভীর রাত পর্যন্ত এলাকাবাসীরা কলেজের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। উত্তেজনা প্রশমিত করতে ঘটনাস্থলে আসে র্যাফ -সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী।
যুবক খুনে অভিযুক্ত ঋষি ও বাবন কিভাবে জামিন পেল, তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন নিহত অজয়ের পড়শিরা। পাশাপাশি তারা ঋষি ও বাবনের ফাঁসির দাবিতে সরব হন। যদিও ঘটনার বিষয়ে কিছুই তাঁর জানা নেই বলে এড়িয়ে গেলেন নৈহাটির বিধায়ক সনৎ দে।