Militant leader, India, হাসিনাকে উৎখাত করে ৭১-এর বদলা নিয়েছি, ভারতকে হুঁশিয়ারি জ/ঙ্গি নেতার

আমাদের ভারত, ২ জুন: কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও পরবর্তীতে গণ অভ্যুত্থানে গত বছর ৫ আগস্ট গদিচ্যুত হন শেখ হাসিনা। প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। এই ঘটনায় একাধিক রিপোর্টে পাকিস্তানের কলকাঠি নাড়ার খবর উঠে এসেছিল। এবার সেই দাবি প্রমাণিত হলো। পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জামাত ও দাওয়াত দাবি করল, হাসিনাকে উৎখাত করতে তাদেরও হাত ছিল।

এই নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠনের প্রধান হলেন ২৬/১২ -র মুম্বাই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সৈয়দ। তাঁর দাবি, এভাবেই নাকি তারা ৭১- এর মুক্তি যুদ্ধের বদলা নিয়েছে।

গত বছর জুলাই মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তাল হয় বাংলাদেশ। আন্দোলনে পথে নামে ছাত্ররা। প্রাণ যায় অন্তত ৬০০ জনের। একই সঙ্গে অত্যাচার নেমে আসে সে দেশের হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর। এই ছাত্র আন্দোলনকে হাতিয়ার করে ছক কষা হয়েছিল হাসিনাকে গদিচ্যুত করার। অনেক রিপোর্টে দাবি করা হয়, পাকপন্থী জামাত উস্কানি দিয়েছে এই আন্দোলনে। যার ফলে এই প্রতিবাদ আরো রক্তাক্ত আকার নিয়েছিল।

দিন কয়েক আগে জেইউডির নেতা সাইফুল্লাহু কাসুরি এবং মোজাম্মিল হাসমি দাবি করে, হাসিনা হঠাও অভিযানে তারা যুক্ত ছিল। এই দুই জেহাদি রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিষিদ্ধ তালিকায় রয়েছে।

এবার জানা গেছে, লাহোর থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরের রহিম ইয়ার খান শহরে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে কাসুরিকে বলতে শোনা যায়, “যখন ১৯৭০ সালে পাকিস্তান ভেঙে ফেলা হয়, তখন আমার চার বছর বয়স ছিল। তৎকালীন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি দ্বিজাতি তত্ত্বকে বঙ্গোপসাগরে ডুবিয়ে দিয়েছেন। আমরা ১৯৭১ সালে প্রতিশোধ নিয়েছি। ভারতের অপারেশন সিঁদুরের কথা উল্লেখ করে সে বলে, লস্কর- ই- তৈবার কমান্ডার মুদাস্সর ৭মে ভারতের হামলায় ছিন্ন ছিন্ন হয়ে যায়। মুরিদকেটে জেডিইয়ের সদর দপ্তরে ভারত হামলা চালিয়েছিল। যখন পেহেলগাঁও- এর ঘটনা ঘটে তখন আমি নির্বাচনী এলাকার জনগণের সঙ্গে বৈঠকে ছিলাম। ভারত আমাকে হামলার মূলচক্রী হিসেবে ঘোষণা করেছিল। ভারত আমার শহর, কাসুরকে বিশ্বের জনপ্রিয় করে তোলে।

ভারতকে নিশানা করে তিনি আরো বলেন, “আমরা বাংলাদেশে তোমাদের হারিয়ে দিয়েছি। হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। আমরা মরতে ভয় পাই না। জিহাদের জন্য নতুন প্রজন্ম তৈরি করেছি।

অর্থাৎ হাসিনার প্রসঙ্গ তুলে দিল্লিকে বার্তা দিয়েছে এই জঙ্গি নেতা। আর এভাবে তাদের প্রকাশ্যে হুঙ্কার দেওয়ায় ফের প্রমাণ হলো পাকিস্তান জঙ্গিদের অবাধ চারণ ক্ষেত্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *