আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ২ জুন: ই- টেন্ডারের পর অবশেষে আড়িয়াদহের ত্রাস জয়ন্ত সিং- এর বাড়ি খালি করে তাকে অন্যত্র চলে যাওয়ার নোটিশ দিলো কামারহাটি পৌরসভা।
আড়িয়াদহ, দক্ষিনেশ্বর অঞ্চলের ত্রাস এবং তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত গুন্ডা জয়ন্ত সিংহের প্রসাদপম বাড়ি ভাঙ্গার আদেশ দিয়েছিল মহামান্য কলকাতা উচ্চ আদালত। গত ১৯ তারিখে মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তর ডিভিশন বেঞ্চ একটি অর্ডার দেয়। সেই অর্ডার অনুযায়ী কামারহাটি পৌরসভাকে নির্দেশ দেওয়া হয়, যাতে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে অবৈধ ভাবে জলা জমি ভরাট করে সেই জমি দখল করে গড়ে ওঠা জয়ন্ত সিংয়ের প্রসাদ সমান বাড়ি ভেঙ্গে দিতে হবে। কিন্তু ওই বিশাল বাড়িটি ভেঙ্গে দেওয়ার মত যন্ত্রপাতি বা লোকবল কামারহাটি পৌরসভার নেই বলে দাবি করে পৌর কর্তৃপক্ষ। তাই পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশ মানতে সেই বাড়ি ভাঙ্গার জন্য কামারহাটি পৌরসভার পক্ষ থেকে তিনটে পেপারে বিজ্ঞাপন দিয়ে বাড়ি ভাঙ্গার উপযুক্ত ঠিকাদার সংস্থার পক্ষ থেকে দরপত্র নেওয়ার জন্য বিজ্ঞাপন দেয় কামারহাটি পৌরসভা।
প্রসঙ্গত, কানাঘুষো চলছিল যে, সামান্য দুধের ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিতে অংশ নিয়ে এলাকার প্রভাবশালী গুন্ডা হয়ে ওঠা এই জয়ন্ত সিং বর্তমানে জেলে থাকলেও তার বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো পদক্ষেপ করতে এখনো ভয় পায় সকলে। আর তাই বিজ্ঞাপন দিয়ে বাইরে থেকে সংস্থার লোক এনে জয়ন্ত সিং- এর বাড়ি ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষকে।
এখন দেখার এই বিজ্ঞাপন দেখে কোন ঠিকাদার সংস্থা এই কাজ করবার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে এবং এই দরপত্রে অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে এবার জয়ন্ত সিং- এর বাড়িটি সম্পূর্ণ ভাবে খালি করে দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বলে খবর। এই প্রসঙ্গে কামারহাটি পৌরসভার উপ পৌর প্রধান তুষার চ্যাটার্জি জানান যে, বোর্ড মিটিং- এ ঠিক হয় যে, ওই বাড়ি ভেঙ্গে দেওয়ার মত পরিকাঠামো নেই পৌরসভার, তাই ই- টেন্ডারের মাধ্যমে এই বাড়িটি ভেঙ্গে ফেলার জন্য বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে আবেদন পত্র গ্রহণ করা হবে। সেই সঙ্গে ওই বাড়িতে কেউ যাতে আর না থাকে তাই ফাঁকা করার জন্য নির্দেশ জারি করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। তার আরো দাবি, শুধু জয়ন্ত সিংয়ের বাড়িটি নয়, পৌরসভার মধ্যে যত অবৈধ নির্মাণ গজিয়ে উঠেছে সেগুলো সবকটি ভেঙ্গে দেওয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে। তাই সেগুলোর মালিকদেরও খালি করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এমনকি আশপাশের বাড়ি গুলোকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে কারোর কোনো ক্ষতি না হয়।”