সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১৮ ফেব্রুয়ারি: দেহ উদ্ধার হয়েছিল আগেই, কিন্তু মাথার খোঁজ পাচ্ছিল না পুলিশ। অবশেষে দুই সপ্তাহ পর দত্তপুকুর হত্যাকাণ্ডে নিহত যুবক হজরতের কাটা মাথা উদ্ধার করল পুলিশ। ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত জলিলকে জেরা করেই নিহত যুবক হজরতের কাটা মুণ্ডুর সন্ধান পেয়েছে পুলিশ।
বামনগাছি স্টেশন সংলগ্ন রেল কোয়ার্টারের রাস্তার পাশের ডোবা থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই কাটা মাথা। খুনের ঘটনার প্রায় ২ সপ্তাহ পর হজরতের কাটা মাথা উদ্ধার করতে পারল পুলিশ। মঙ্গলবার পুলিশের সঙ্গে ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য বেরিয়ে বামনগাছির ওই কচুবনে যায় জলিল। জানায়, ওখানেই রয়েছে হজরতের কাটা মাথা। বেশ কিছুক্ষণ তল্লাশি চালানোর পর সেখান থেকে হজরতের দেহাংশ উদ্ধার হয়। সোমবার জানা গিয়েছিল, চুরির সামগ্রীর ভাগ-বাটোয়ারার জেরে হজরতকে খুন করেছিল জলিল, ত্রিকোণ প্রেমের জেরে নয়। তবে সম্প্রতি জলিল পুলিশি জেরায় জানিয়েছে, তার স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ছিল হজরতের। রাগের বশে তাকে খুন করেছে সে। জলিলের দাবি, বারবার বারণ করা সত্ত্বেও সে কথা শোনেনি। উল্টে তার স্ত্রী সুফিয়াকে যৌন নির্যাতনও করত হজরত। একদিকে চুরির বস্তু নিয়ে ঝামেলা, অন্যদিকে স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক, সব মিলিয়ে হজরতের ওপর ক্ষোভ বেড়েই চলছিল জলিলের। তার জেরেই তাকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে সে।
কেউ যাতে হজরতের দেহ শনাক্ত না করতে পারে সেই কারণেই তার মুন্ডু কেটে নিয়েছিল তারা। ধড় থেকে মাথা আলাদা করার সময়ে জলিলকে সঙ্গ দিয়েছিল তার স্ত্রীও। মৃত যুবকের পরিচয় জানতে ‘বাঁ হাত’-এর ওপর ভরসা করেছিল পুলিশ। সেই হাতের ট্যাটু দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছিল। অবশেষে সেই সূত্র ধরেই তার পরিচয় জানা যায়। এখন জলিলকে জেরা করে কাটা মাথাও পেয়ে গেল পুলিশ।