Bangladesh, Hindu, বাংলাদেশে বেলাগাম হিন্দু নির্যাতন! চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ্যে, ৩২ খুন, ৯ ধ*র্ষ*ণ, ১৩৩ মন্দির ভাঙ্গচুর

আমাদের ভারত, ১৮ ফেব্রুয়ারি: এবার একেবারে তথ্য প্রমাণ সহ প্রকাশ্যে এলো বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের ভয়াবহ রিপোর্ট। গত বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশে হাসিনা সরকারকে উৎখাতের পর ইউনুসের সরকার ক্ষমতায় আসতেই একেবারে দাঁত নখ বের করে ঝাপিয়ে পড়ে জঙ্গিরা। সেখানে ধর্মীয় মৌলবাদীদের রোশানলে পড়েন সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুরা।

রিপোর্ট বলছে গত পাঁচ মাসে ৩২জন খুন হয়েছেন। ১৩ জন সংখ্যালঘু মহিলাকে ধর্ষণ ও গণধর্ষণ করা হয়েছে। আঘাত নেমে এসেছে হিন্দুদের মন্দিরে। ধ্বংস করা হয়েছে ১৩৩টি মন্দির। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, লাগাতার এই ঘটনা ঘটলেও সম্পূর্ণ চোখ বুজে রয়েছে ইউনুস প্রশাসন।

বাংলাদেশের মাটিতে সংখ্যালঘু নির্যাতনের চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট সম্প্রতি প্রকাশ্যে এনেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ইউনিটি কাউন্সিল। রিপোর্ট বলছে, গত বছর ৪ আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর এই সময়কালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী সরকার বদলের মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে ২০১০টি সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটে। এমনকি চাপের মুখে বাংলাদেশ সরকার স্বীকারও করে নেয় এর মধ্যে ১৭৬৯টি ঘটনার প্রমাণ পেয়েছেন তারা। মামলা শুরু হয়, তবে সেই মামলা নিয়ে খুব বেশি তৎপরতা দেখা যায়নি সরকারের তরফে।

সংখ্যালঘু কাউন্সিলের মহাসচিব মণিন্দ্র কুমার নাথ বলেন, মূলত দুই ধাপে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। প্রথম ধাপে ৪ থেকে ২০ আগস্ট সরকার বদলের পর এই সময় সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ প্রশাসন সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় ছিল এই সময়। রিপোর্টের দ্বিতীয় ধাপ ২০ আগস্ট থেকে ৩১ ডিসেম্বর। এই সময়কালে ইউনুসের উপদেষ্টা সরকার ক্ষমতায় আসে। তবে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় খুব একটা লাগাম পড়েনি।

প্রথম ১৫ দিনের মধ্যেই ৯ জন সংখ্যালঘু খুন হয়। চার জনের ধর্ষণ ও ৯১৫টি বাড়িতে হামলা চলে। ৯৫৩টি দোকানে ভাঙ্গচুর করা হয়। ৬৯টি মন্দির ভাঙ্গচুর করা হয়। ২০ আগস্ট উপদেষ্টা সরকার গঠনের পর বাংলাদেশের ক্ষমতা আসে ইউনুসের হাতে। তারপরেও ছবিতে বিশেষ কোনো বদল আসেনি। পরবর্তী চার মাসে ২৩টি খুন, ৯ জনকে ধর্ষণ সহ ৬৪টি মন্দিরে হামলা চলে।

এই সময় রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছিলেন সেখানকার হিন্দুরা। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা দূরে থাকে, এই ঘটনা মানুষের রাজনৈতিকভাবে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলে আখ্যা দেওয়া হয়। কেবল তাই না, সংখ্যালঘুদের গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করা হয় সরকারের তরফে। সরকারি চাকরিতে থাকা সংখ্যালঘুদের জোর করে ইস্তাফা দেওয়ানো হয়।

সংখ্যালঘু কমিটির রিপোর্টের পাশাপাশি গত বুধবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্টও প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দাবি করা হয়, গত বছরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে ১৪০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে। হাসিনা বিদায়ের পর থেকে বেলাগাম নির্যাতন হয়েছে সংখ্যালঘুদের ওপর। তাদের দোকানপাট, মন্দিরে ভাঙ্গচুর চলেছে। এর সব চেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে গ্রামীণ ক্ষেত্রে। ঠাকুর গ্রাম, লালমণিরহাট, দিনাজপুর, সিলেট, খুলনা, রংপুর বেশি উত্তপ্ত হয় এই সময়কালে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *