Language Festival, Border, ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তে একুশে-র যৌথ ভাষা উৎসব ঘিরে সংশয়

সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, ১৮ ফেব্রুয়ারি: ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তের পেট্রাপোল ও বেনাপোলের নো ম্যানন্স ল্যান্ডে যৌথ ভাষা উৎসবের আয়োজন ঘিরে কোথাও কোনও তৎপরতা নেই। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির জেরে আদৌ উৎসব হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সীমান্তে অনুষ্ঠান নিয়ে দু’দেশের মধ্যে এখনও কোনও আলোচনা হয়নি।

সিপিএম- এর আমল থেকে এই দিনে সীমান্তে ভাষা দিবস পালন শুরু হয়েছিল। ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত, বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতি ও বনগাঁ পুরসভার উদ্যোগে প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি পেট্রাপোল সীমান্তে আড়ম্বরে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান হয়। উল্টোদিকে বেনাপোল সীমান্তেও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দিনটি পালিত মর্যাদার সঙ্গে এতদিন পালিত হতো। দু’দেশের অতিথিরা জিরো পয়েন্টে শহিদ বেদিতে মাল্যদান করতেন। তবে এবার অন্য পরিস্থিতি। এই অবস্থায় বেনাপোলে ভাষা দিবস পালিত হবে কিনা, সন্দেহ। তবে এবার অন্যান্য বছরের মতো ভাষা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতি ও ছয়ঘরিয়া পঞ্চায়েত। আলাদা করে ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানাবে বনগাঁ পুরসভাও।

অতীতে ভাষা দিবসে দুই বাংলা এক হয়ে যেত। ২১ ফেব্রুয়ারি কিছু সময়ের জন্য খুলে দেওয়া হতো দু’দেশের গেট। দুই বাংলার মানুষ শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন। একটাই মঞ্চ হতো। সেখানে ভারত ও বাংলাদেশের অতিথিরা উপস্থিত থাকতেন। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে গত কয়েক বছর ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে সেই ছবি দেখা যায়নি। দু’দেশের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো। দু’দেশের কয়েকজন অতিথি জিরো পয়েন্টে শহিদ বেদিতে মাল্যদান করলেও সাধারণ মানুষকে যেতে দেওয়া হতো না। কড়াকড়ির বাঁধনে তখনই ভাষা দিবসের জৌলুস কিছুটা কমেছিল। এবছর পুরোটাই হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। বনগাঁ শহরে পালিত হবে অমর একুশে। বনগাঁ পুরসভার উদ্যোগে ভাষা দিবস উপলক্ষ্যে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। ভাষা শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানাবেন বিশিষ্টরা।

এ বিষয়ে বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সীমান্তে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান নিয়ে কোনও আলোচনার প্রস্তাব আসেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *