সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২০ জানুয়ারি: দিল্লির প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অংশ নিচ্ছে বাঁকুড়ার দুই পড়ুয়া। বড়জোড়া ব্লকের ছান্দার গ্রামের রিয়া বর্ধন ও পাত্রসায়েরের রকি দলুই, এই ২ জন দিল্লি পাড়ি দেওয়ার সঙ্গে বাঁকুড়ার সাফল্যের চুড়ায় আরও ২টি পালক যোগ হলো।
রিয়া বেলিয়াতোড় যামিনী রায় কলেজের কলা বিভাগের তৃতীয় সেমিস্টার ও রকি বাঁকুড়া সম্মিলনী কলেজের পুষ্টি বিজ্ঞানের পঞ্চম সেমিস্টারের পড়ুয়া। রিয়া ও রকি ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের পূণ্য প্রভাতে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনে কুচকাওয়াজ প্রদর্শনে অংশ নেবে। এর আগে ২০১৬ ও ২০১৮ সালে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওযাজের যোগ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল যামিনী রায় কলেজের দুই কৃতি পড়ুয়া হারাধন কর্মকার ও মৃত্তিকা দাস। এবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে যে ৮ জন এনএসএস ভলান্টিযার প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওযাজে অংশ নেওয়ার জন্য ডাক পেয়েছেন তাদের মধ্যে বাঁকুড়া থেকেই ২ জন সুযোগ পেয়েছে। জেলার জন্য এটাও একটা বড় সাফল্য বলে মনে করছেন অনেকেই।
গত ১৮ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া মন্ত্রকের তরফে রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কো-অর্ডিনেটরদের জানানো হয়েছে, ওই ৮ জনকে সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার জন্য। প্রতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে দিল্লিতে কুচকাওযাজের প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হয় দেশের বাছাই করা এনএসএস ভলান্টিযারদের নিয়ে। রিয়া ও রকির দেশের কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়ার খবর শুনে যামিনী রায় কলেজ ও সম্মীলনী কলেজের পড়ুয়াদের মধ্যে খুশির হাওয়া লেগেছে।
রিয়ার প্রতিক্রিয়া, প্রধানমন্ত্রীর সামনে কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করব ভাবলেই শরীরে শিহরণ জাগছে।
রকি বলছেন, আমি যে পরিবার থেকে উঠে এসেছি তাতে দিল্লি যাওয়াই স্বপ্ন মনে হচ্ছে। তার উপর প্রধানমন্ত্রীকে কাছ থেকে দেখতে পাবো তাও আবার কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে।
যামিনী রায় কলেজের অধ্যক্ষ প্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সম্মেলনী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন মুখোপাধ্যায়রা বলেন, রিয়া ও রকি আমাদের কলেজের গর্ব তো বটেই, এরা দু’জনে বাঁকুড়া জেলাকে রিপ্রেজেন্ট করতে যাচ্ছে মানেই জেলার গর্ব।