Two body, Canning, ক্যানিংয়ে বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার জোড়া দেহ

আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ২২ এপ্রিল: বন্ধ ঘর থেকে এক বৃদ্ধ দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। ক্যানিংয়ের দিঘিরপাড় মিলন সংঘ এলাকার ঘটনা। মৃতদের নাম রঞ্জিত ব্যানার্জি (৮৫) ও কবিতা ব্যানার্জি (৭৬)। সোমবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ রঞ্জিতের বড় ছেলে চিরঞ্জীব ব্যানার্জি বাড়ির দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে দেখেন দু’জনেই ঘরের মধ্যে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। পুলিশকে খবর দিলে ক্যানিং থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই ঐ দম্পতি থাকতেন এই বাড়িতে। রঞ্জিতবাবু পেশায় পুরোহিত হলেও দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন। বাড়ি থেকে বের হতে পারতেন না। স্বামী স্ত্রী দু’জনেই বাড়ির দোতলায় থাকতেন। ওনাদের ছোট ছেলে কলকাতা পুলিশে কর্মরত। বড় ছেলেও কর্মসূত্রে বারাসতে থাকেন। সেখান থেকে প্রতি সপ্তাহে এসে বাবা মায়ের জন্য যাবতীয় বাজার, রান্না করে দিয়ে যেতেন। ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে গরম করেই খেতেন এই বৃদ্ধ দম্পতি। গত ১৫ এপ্রিল শেষ কথা হয়েছিল বাবা মায়ের সঙ্গে।

গত দু’দিন ধরে চিরঞ্জীব একাধিকবার ফোন করলেও বাবা মা কেউই ফোন তোলেননি। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি ক্যানিংয়ে ফেরেন। রাতেও বাড়ির সামনে এসে বেশ কয়েকবার ডাকাডাকি করেন বাবা মাকে। কিন্তু কোনো সাড়া পাননি। সোমবার সকালে এসেও ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে বাড়ির পিছনের দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢোকেন তিনি। ঘরে ঢুকেই বাবা ও মায়ের মৃতদেহ ঘরের দু’ জায়গায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অন্তত দু’দিন আগে মৃত্যু হয়েছে ঐ দম্পতির। কবিতার মাথায় চোটের চিহ্ন রয়েছে। সঠিক কি কারণে মৃত্যু তা জানতে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।

চিরঞ্জীব বলেন, “ আমি ও ভাই দু’জনেই বাইরে থাকি। প্রতি সপ্তাহে বাড়ি এসে মা বাবার জন্য রান্না করে বাজার করে দিয়ে যাই। দু’দিন ধরে ফোনে পাচ্ছিলাম না ওনাদের। এর আগেও অনেকবারই ফোনে পাইনি। ভেবেছিলাম বয়সের ভারে ফোনো ধরতে পারেননি, তাই দুশ্চিন্তা করিনি। আজ দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে দেখি দু’জনের দেহ পড়ে রয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *