Trump, Bangladesh, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে বড় ধাক্কা ইউনুস সরকারের! বাংলাদেশকে আর্থিক সাহায্য বন্ধ করলো আমেরিকা

আমাদের ভারত, ২৬ জানুয়ারি: আন্দাজ ছিল। আর সেটাই হলো। বড়সড় ধাক্কা খেল বাংলাদেশের ইউনুস সরকার। সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে আমেরিকার বিদেশ নীতিও বদলে গেল। বাংলাদেশকে দেওয়া সব সাহায্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প সরকার। আমেরিকার এই সিদ্ধান্তের জেরে আশঙ্কা করা হচ্ছে বিরাট অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে ইউনুস প্রশাসন।

ছাত্র আন্দোলনকে হাতিয়ার করে বাংলাদেশ থেকে হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার পর আমেরিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছিলেন মহম্মদ ইউনুস। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তাঁর কোলাকুলির ছবি ভাইরাল হয়েছিল। অনুমান করা হয়েছিল বাইডেনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ হবে বাংলাদেশ। কিন্তু তা হলো না। ইউনুস শাসনে বাংলাদেশের মৌলবাদের দাপট ও সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় প্রথম থেকেই সরব ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনে তাঁর জয়ের পরেই আশায় জল পড়ে ইউনুস সরকারের।

তবে ইউনুস আশা করেছিলেন, বিদেশ নীতিতে বিশেষ বদল আনবেন না ট্রাম্প। কিন্তু সেই সমস্ত সম্ভাবনায় ইতি টেনে বিদেশ নীতি বদলে ফেললেন ট্রাম্প। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশগুলিকে সাহায্য পাঠানো বন্ধ করল আমেরিকা।

ইউনাইটেড এজেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশে তাদের সব প্রকল্পের কাজ বন্ধের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে। এই মর্মে বিভিন্ন প্রকল্পের পার্টনারদের কাছে চিঠি পৌঁছে গিয়েছে। বাংলাদেশকে আর্থিক সাহায্য তো বটেই এদেশের মাটিতেও আমেরিকার তরফে সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

শাসনভার নেওয়ার পরে ইসরায়েল এবং মিশর ছাড়া বাকি সমস্ত আন্তর্জাতিক অনুদান বন্ধের জন্য নির্দেশিকায় সই করেছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেটাই কার্যকর হল। আর এর ফলে বিরাট ধাক্কা খেলো বাংলাদেশের ইউনুসের উপদেষ্টা সরকার।

উল্লেখ্য, আমেরিকান নয়া সরকার গঠিত হওয়ার পরই ট্রাম্প প্রশাসনের নবনির্বাচিত বিদেশ সচিব মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন এস জয়শঙ্কর। সূত্রের খবর, সেখানে মার্কিন আধিকারিকের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। তারপরেই আমেরিকার এই পদক্ষেপ কূটনৈতিক মহলে জল্পনা বাড়িয়েছে। যদিও শুরু থেকেই ট্রাম্প বিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন মহম্মদ ইউনুস। তার মধ্যে বাংলাদেশের অরাজকতার তীব্র নিন্দায় সরব হতে দেখা যায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। ফলে দুই নেতার ব্যক্তিগত ঠোকাঠুকি শুরু থেকেই ছিল। ক্ষমতায় এসেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল ট্রাম্প প্রশাসন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *