আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ৩০ অক্টোবর: মঙ্গলবারই গোসাবা বিডিও অফিস চত্বরে বিধায়ক সুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে রাজ্যের মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরার সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন এলাকার মানুষ। বিশেষ করে বালি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মানুষজন ছিলেন সেই বিক্ষোভে। ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সেই বিক্ষোভকারীদের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল বিধায়ক সুব্রত মন্ডলের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। বুধবার সকাল থেকেই একের পর এক বিক্ষোভকারীদের বাড়ি টার্গেট করে হামলা চালায় সুব্রত মন্ডলের অনুগামীরা। বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি ভেঙ্গে দেওয়া হয় বাইক, টোটো, বাড়িঘর, আসবাবপত্র। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। গোসাবা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এই ঘটনায় মোট ১২ জনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গোসাবার বিধায়ক। তিনি বলেন, “এই ধরনের কোনো কথা জানা নেই। যদি এলাকার মানুষের উপর কোনো হামলা, অত্যাচার হয়ে থাকে পুলিশ সেই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করুক।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “মঙ্গলবার বিডিও অফিসে আমার বিরুদ্ধে যে অন্যায়, মিথ্যা অপপ্রচার করা হয়েছে তা বালি ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ মেনে নেয়নি। তাঁরা রাগে ক্ষোভে ফুঁসছে। সেই কারণে কারও কারও সঙ্গে ঝগড়া, অশান্তি হতে পারে, তবে সে কথাও আমার জানা নেই।”
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোসাবায় তৃণমূলের দলীয় কোন্দল আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এলো। গোসাবা ব্লক তৃণমূলের কার্যকারী সভাপতি সুবিদ আলি ঢালি বলেন, “এটা কোনো গোষ্ঠী কোন্দল নয়। তবে বেছে বেছে তৃণমূল কর্মীদের উপর আক্রমণ করা হয়েছে। এই মানুষগুলি বিধায়কের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন বলেই, এই হামলা হয়েছে। পুলিশকে বলেছি তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করতে।”
এসডিপিও ক্যানিং রামকুমার মন্ডল বলেন, “এলাকায় একটা মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। যাতে এলাকায় আইন শৃঙ্খলা বজায় থাকে সেই চেষ্টা আমরা করছি।”