Agitation, Canning, ক্যানিংয়ের সেন্ট গ্যাব্রিয়েল স্কুলে বিক্ষোভ চাকরি প্রার্থীদের, কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের

আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ৩০ অক্টোবর: ক্যানিংয়ের সেন্ট গ্যাব্রিয়েল হাই- স্কুলে চাকরির নামে দুর্নীতি হয়েছে। বঞ্চিত হয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা। বুধবার সকালে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চাকরির পরীক্ষা দিতে এসে ক্ষোভে ফেটে পড়েন চাকরি প্রার্থীরা। তাঁরা স্কুলে এসে শোনেন পরীক্ষা বাতিল হয়েছে স্কুলের কোনো অভ্যন্তরীন সমস্যার কারণে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, পরীক্ষার আগেই চারজনকে মনোনীত করা হয়েছে। এই খবর জানতেই স্কুলের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পরীক্ষার্থীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় স্কুল চত্বরে। খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, এই স্কুলে নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি ২০২২ সালে বের হয়। সেই সময় তাঁরা ফর্ম ফিলাপ করেছিলেন। দু’বছর বাদে তাঁদের চিঠি দিয়ে পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়। বুধবার বাংলা, সংস্কৃত, ইংরাজি ও কর্মশিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়গের পরীক্ষা ছিল। এদিন সকালে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েকশো পরীক্ষার্থী সেই পরীক্ষা দিতে হাজির হন স্কুলে। কিন্তু সেখানে এলে স্কুলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো নোটিশ সে সময় দেওয়া হয়নি। কী কারণে পরীক্ষা বাতিল জিজ্ঞাসা করলে স্কুলের তরফে কোনো সদুত্তরও দেওয়া হয় না। তখনই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন পরীক্ষার্থীরা।

মুর্শিদাবাদ থেকে পরীক্ষা দিতে আসা শুভেন্দু দাস, জলপাইগুড়ি থেকে পরীক্ষা দিতে আসা মিহির রায়রা বলেন, “পরীক্ষার আগেই চারটে চাকরি মোটা টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছেন এই স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষা যদি নেবেন না তাহলে আমাদের কেন ডাকা হল? আমাদের যাতায়াতের খরচ দিতে হবে। পাশাপাশি নিয়োগে এই দুর্নীতি আমরা মানি না। সঠিক ভাবে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ করতে হবে।” আরেক চাকরি প্রার্থী কমলিকা সেন বলেন, “বিগত আট বছর ধরে কোনো সরকারি চাকরি নেই রাজ্যে। এরকম দু’ একটা যা চাকরির সুযোগ তৈরি হচ্ছে সেগুলিতেও দুর্নীতি হচ্ছে। আমাদের মত শিক্ষিত বেকাররা কোথায় যাবে? এই দুর্নীতির প্রতিবাদ জানাই।”

চাকরি বাতিলের কথা স্বীকার করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাজেশ দেবনাথ। তিনি বলেন, “স্কুলের আভ্যন্তরীন কিছু সমস্যার কারণে এই পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। পরবর্তীতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। সেই পরীক্ষার দিন পুনরায় চিঠির মাধ্যমে চাকরি প্রার্থীদের জানিয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি পরীক্ষার্থীরা যে যাতায়াতের খরচ চাইছেন সেটাও স্কুলের তরফ থেকে ওনাদের দিয়ে দেওয়া হবে।” তবে প্রধান শিক্ষকের এই আশ্বাসের পরেও বিক্ষোভ ওঠেনি।

পরীক্ষার্থীরা দাবি করেন, এদিন যারা পরীক্ষা দিতে এসেছেন তাঁদের নামের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। পরে অন্য কোনো ভাবে নতুন পরীক্ষার্থীর নাম তালিকায় ঢোকানো যাবে না। তাঁদের এই দাবির মুখে পড়ে স্কুল পরিত্যাগ করেন প্রধান শিক্ষক। দীর্ঘক্ষণ সেখানে বিক্ষোভের পর এদিন বিকেলে ক্যানিং থানায় স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পরীক্ষার্থীরা। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *