আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ২৪ সেপ্টেম্বর: আবাস যোজনা থেকে শুরু করে সৌন্দার্যায়ন, সমস্ত প্রকল্পেই দুর্নীতি। দুর্নীতির আর্থিক পরিমাণ প্রায় ১২০ কোটি টাকারও বেশি। এই অভিযোগ পাওয়ার পরেই জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সদস্য তথা মালবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহাকে অনিদিষ্ট কালের জন্য সাসপেন্ড করল তৃণমূল। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির লিখিত নির্দেশ আসার পরেই মঙ্গলবার জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ সাংবাদিক সম্মেলন করে সাসপেন্ডের কথা ঘোষণা করলেন। যদিও স্বপন সাহার দাবি, তাঁকে সাসপেন্ড করার কথা অন্যভাবে শুনছেন। তবে দলের পক্ষ থেকে এখনোও কোনো চিঠি পাননি। চিঠি হাতে পেলে তবেই এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়া সম্ভব হবে।
অভিযোগ, মালবাজার পুরসভার এই চেয়ারম্যান বিভিন্ন সময় সরকারি আবাস যোজনার গৃহ নির্মাণ থেকে শুরু করে মালবাজার শহরের সৌন্দার্যায়ন, রাস্তা নির্মান, পানীয় জল প্রকল্প সহ একাধিক প্রকল্পের টাকা
নয়ছয় করেছেন। আবার কিছু ক্ষেত্রে তিনি ওই টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে সরাসরি স্থানান্তর করেছেন বলে অভিযোগ। এই দুর্নীতি নিয়ে স্থানীয় এক আইনজীবী হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলা এখনও চলছে। এর পরেই রাজ্যে সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু করা হয়। জানা গেছে, তদন্তেও এই দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসায় দলের রাজ্য সভাপতি স্বপন সাহাকে অনিদিষ্ট কালের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা সভাপতিকে।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, মালবাজার পুরসভায় একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে মালবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহার বিরুদ্ধে। রাজ্য তৃণমূলের নির্দেশে তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এখন চেয়ারম্যান কে হবে রাজ্য কমিটি জানাবেন।
সূত্রের খবর, এক ঠিকাদারকে টাকা না দেবার বিষয় হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। টাকার দেবার জন্য কোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরেও নির্দেশ পালন না করায় স্বপন সাহার বিরুদ্ধে রুল জারি করা হয়। দলের কাছে নানান অভিযোগ জমা পড়েছে।
অভিযোগকারী আইনজীবী সুমন কুমার শিকদার বলেন, “মালবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহার বিরুদ্ধে অসংখ্য আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ১২০ কোটি টাকারও বেশি। সিবিআই তদন্তের দাবি জানাই।”