সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৮ ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালির একাধিক অসামাজিক কাজের অভিযোগে ধৃত তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার ওরফে সুশান্তর নাম জড়ালো এবার বনগাঁর একটি খুনের মামলায়। আর সেই সুবাদেই বুধবার তাকে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে খবরের শিরোনামে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি এলাকা। আর তাকে কেন্দ্র করে রাজ্য–রাজনীতি সরগরম। সেখানকার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত শেখ শাজাহান এখনও অধরা হলেও তার অনুগামী হিসেবে পরিচিত উত্তম সর্দার ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে। আর এবার সেই উত্তম সর্দারেরই নাম জড়ালো বনগাঁর একটি খুনের মামলায়। সেই খুনের মামলায় ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে অভিযুক্ত উত্তম সর্দার। আর তাই বুধবার তাকে বনগাঁ আদালতে পেশ করা হয়। তার হয়ে আইনি লড়াই করছেন আইনজীবী সঞ্জয় দাস।
এদিন সঞ্জয় দাস জানান, ২০২৩ সালের ২৩ আগস্ট বনগাঁ থানার ট্যাংরা কলোনী এলাকায় দুই প্রতিবেশীর মধ্যে জল পড়া নিয়ে বিবাদ বাধে। আর সেই ঘটনায় এক প্রতিবেশীর বাঁশের আঘাতে প্রাণ হারান বিষ্ণু মন্ডল নামে আর এক প্রতিবেশী। বিষ্ণু মন্ডলের স্ত্রী ঝর্ণা মন্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে সেই সময়েই অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হয়। সঞ্জয় দাসের বক্তব্য অনুযায়ী, ধৃতরা নাকি পুলিশি জেরায় এই খুনের ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে উত্তম সর্দারের নাম বলেছে। আর তাই তাকে এই মামলায় যুক্ত করে তার বিরুদ্ধেও ৩০২ ধারা দেওয়া হয়েছে। এদিন উত্তম সর্দারকে আদালতে তোলার সময় তাকে এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে সে দাবি করে যে, সে সম্পূর্ণ নির্দোষ। এর আগে সে কোনওদিন বনগাঁতে আসেনি। এই খুনের ব্যাপারে সে কিছুই জানে না।
পুলিশের পক্ষ থেকে এদিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য উত্তম সর্দারকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানানো হয়। অন্যদিকে, উত্তম সর্দারের আইনজীবী তার জামিনের জন্য আবেদন জানান। দুই পক্ষের আবেদনই খারিজ করে দিয়ে বিচারক উত্তম সর্দারকে ১৪ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।