পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৪ নভেম্বর: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ঘাটালে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। তারকা সাংসদ দেবের সামনেই শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি। এমনকি ঝড়ল রক্ত।
শিশুমেলার আয়োজন নিয়ে মিটিং চলাকালীন তুলকালাম শুরু হয়। দেবের অনুগামীদের সঙ্গে শঙ্কর দলুইয়ের অনুগামীদের হাতাহাতি। কয়েকদিন আগেই শিশুমেলার আয়োজন নিয়ে বৈঠকে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দলুইয়ের সঙ্গে সংঘাত।
শিশুমেলার আয়োজন ঘিরে রবিবার ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় ঘাটালে। দেবের অনুগামীদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয় শঙ্কর দলুইয়ের অনুগামীদের। ঘাটালের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে মেলা নিয়ে তৃণমূলের বৈঠক চলাকালীন ধুন্ধুমার কাণ্ড শুরু হয়। গন্ডগোলের জেরে বৈঠক ছাড়েন তৃণমূল সাংসদ দেব।
ঘাটালের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর জানিয়েছেন, শিশুমেলা নিয়ে কয়েকদিন আগেই বৈঠক হয়েছিল। আজ যা হল পরিকল্পিত ভাবে করা হল বলে দাবি তাঁর। ঘটনাস্থল থেকে যে ছবি এবং ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে তীব্র চিৎকার চেঁচামেচি চলছে। ধস্তাধস্তি, হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছেন তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লোকজন। তেড়ে যাচ্ছেন পরস্পর পরস্পরকে দেখে। হাত তুলে দুই পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করেন দেব। ঘটনাস্থলে পুলিশও মজুত ছিল সেই সময়। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি।
জানা গিয়েছে, শিশুমেলাকে কেন্দ্র করেই এই ঝামেলার সূত্রপাত। এই শিশুমেলা বরাবরই ঘাটালে বড় করে অনুষ্ঠিত হয়। ওই শিশুমেলার রাশ কার হাতে থাকবে, সেই নিয়েই গন্ডগোল। এতদিন শিশুমেলা অরাজনৈতিক একটি মেলা থাকলেও, দেব এবং শঙ্করের সংঘাতে ওই মেলার গায়েও রাজনীতির রং লেগেছে বলে জানা যাচ্ছে। গত বছরও এই মেলায় যৌথ ভাবে শামিল ছিলেন দেব এবং শঙ্কর। তাঁরা দু’জনই যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু এ বছর মেলা নিয়ে দিন কয়েক আগেই বৈঠক করেন শঙ্কর দলুই। সেই বৈঠকেও ডাকা হয়নি দেবকে। এমনকি মেলা কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয় দেবকে। এর পরই ঘাটালের বিজেপি-র বিধায়ক শীতল কপাট জায়গায় জায়গায় পোস্টার লাগান যে মেলাকে কেন্দ্র করে রাজনীতি হচ্ছে, তোলাবাজি হচ্ছে।
সেই পরিস্থিতিতে রবিবার তড়িঘড়ি দেব অরবিন্দ স্টেডিয়ামে বৈঠক ডাকেন। সেখানে দেব পৌঁছনোর পরই স্টেডিয়ামে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। দেবের বিরুদ্ধে নানান মন্তব্য উড়ে আসতে শুরু করে। প্রথমে ঠেলাঠেলি, ধাক্কাধাক্কি, হাতাহাতি শুরু হয়। এরপর লাঠি নিয়ে বেধড়ক মারধর শুরু হয়। এত লাঠিসোঁটা কোথা থেকে এল সেই প্রশ্নের উত্তর মিলছে না। যদিও এক পক্ষের দাবি, অন্যরা আগে থেকেই লাঠিসোঁটা জড়ো করে রেখেছিল।