আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ৬ এপ্রিল: দলের অন্দরে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নিয়ে শঙ্কিত জেলা নেতৃত্ব।নির্বাচনে তার প্রভাব না পড়ে সেদিকে কড়া নজর দলীয় নেতাদের। সভা সমিতিতেও সকলকে সতর্ক করা হচ্ছে।গতকাল সন্ধ্যায় শিক্ষকদের সভাতেও ঐক্যের ডাক দিলেন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী তথা জেলা সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী। মান, অভিমান, ভেদাভেদ ভুলে দলকে বিপুল ভোটে জয়ী করতে সকলকে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান তিনি।
গতকাল সন্ধ্যায় রাইপুর সবুজ সংঘের মাঠে শিক্ষকদের নিয়ে সভা করেন তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী।এদিন পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক তৃণমূল শিক্ষক সমিতি ও মাধ্যমিক তৃণমূল শিক্ষক সমিতির নেতা ও সদস্যদের সঙ্গে লোকসভা নির্বাচন ও ৮ এপ্রিল রাইপুরে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেন তিনি। তিনি বলেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া লোকসভা আসনে দলকে বিপুল ভোটে জয়ী করতে সকলকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। ভেদাভেদ ও রাগ, অভিমান ভুলে হাতে হাত মিলিয়ে মা মাটি মানুষের সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমুখী কাজ ও প্রকল্পগুলির কথা তুলে ধরতে হবে সাধারণ মানুষের কাছে। শিক্ষকরাই পারেন সেই কাজ করতে। এখনো শিক্ষক মশাইদের মানুষ সম্মান করে। তাদের কথাকে বেদ বাক্যের মত মেনে চলে। শিক্ষকরাই হলেন জাতির মেরুদন্ড। আজ তিনি গর্বিত ও আপ্লুত, কারণ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষক মশাইরা বৈঠকে হাজির হয়েছেন।
বিজেপির সাংসদ তথা বর্তমানের প্রার্থী ডা: সুভাষ সরকারের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, সাংসদ কী কাজ করেছেন তার হিসেব দিতে পারছেন না। তাকে কেন মানুষ ভোট দেবেন? কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হয়েও শিক্ষার উন্নয়নে জেলার জন্য বা সংসদ এলাকার জন্য কিছুই করলেন না বলেও তিনি অভিযোগ করেন। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি, রাইপুর বিধানসভার বিধায়ক মৃত্যুঞ্জয় মূর্মু, বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ধীরেন্দ্রনাথ ঘোষ, বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুসূয়া রায়, বাঁকুড়া পৌরসভার পৌর প্রধান অলকা সেন মজুমদার, রাইপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জগবন্ধু মাহাতো, বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি গোরাচাঁদ কান্ত, বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা প্রাথমিক তৃণমূল শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি জয়ন্ত চন্দ, বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি গৌতম গরাই, প্রাথমিক তৃণমূল শিক্ষক সমিতির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপ্পাদিত্য মন্ডল সহ বিভিন্ন ব্লকের নেতৃত্ব। সভাটি পরিচালনা করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী অধ্যাপক শ্যামল সাঁতরা। এদিনের সভায় জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষক- শিক্ষিকা হাজির ছিলেন।