TMC, Dev, Madpur, Mansa temple, মাদপুরের মনসা মন্দিরে পুজো দিয়ে জনসংযোগ তৃণমূল প্রার্থী দেবের, মন্দির কমিটির তরফে দেওয়া হলো সম্বর্ধনা

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২ এপ্রিল: মাঠের মাঝে দেবী মনসার অবস্থান। মাথার উপর কোনও ছাদ বা আচ্ছাদন না থাকলেও বছরের চৈত্র মাসে নির্দিষ্ট একটি দিনে লক্ষাধিক মানুষের ভিড় জমে এই মন্দিরে। দূর দূরান্ত থেকে বহু ভক্ত আসেন মনস্কামনা জানিয়ে পুজো দিতে। বেশ কয়েক বছর ধরে জাঁকজমক আরও বেড়েই চলেছে। বছরের সব দিনই ভক্তের ভিড় থাকে এখানে, তবে এই নির্দিষ্ট দিনে মনসা পুজোকে কেন্দ্র করে হয় বিশাল মেলার আয়োজন, থাকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ভক্তদের জন্য এই দিন মন্দিরের সোজাসুজি দাঁড়াতে হয় ট্রেনকে। বাংলা, ওড়িশা, ঝাড়খন্ড, কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে বহু ভক্ত আসেন এই দিন।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর গ্রামীন থানার অন্তর্গত মাদপুরে রয়েছে প্রাচীন মনসা মন্দির। দিন দিন দেবীর মাহাত্ম্য বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন ভক্তের আনাগোনা থাকলেও বছরের চৈত্র মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার বেশ ভিড় জমে এই মন্দিরে। দেবীর কাছে পুজো দেওয়ার আশায় আগের দিন থেকেও বহু ভক্ত আসেন মন্দিরে। তবে মঙ্গলবার লক্ষাধিক ভক্তের ভিড় জমেছিল এখানে। মনস্কামনা জানিয়ে পুজো দেন বাংলা, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা মানুষজন। মন্দিরের প্রতিষ্ঠানের নানান ইতিহাস, লোককথা থাকলেও ধীরে ধীরে দেবীর মাহাত্ম্যের ব্যপ্তি ঘটেছে। নিজেদের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণ হওয়ায় নির্দিষ্ট এই পুজোর দিনে বহু ভক্ত আসেন এখানে।

জানা যায়, সন্তান ধারণ, বিভিন্ন গৃহপালিত পশু হারিয়ে যাওয়া বা প্রিয়জন নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার মত ঘটনায় মিলেছে সুরাহা। স্বাভাবিকভাবে মাদপুরের মনসা পুজোকে কেন্দ্র করে বেশ জাঁকজমক থাকে। বছরে একটি নির্দিষ্ট দিনে বড় পুজো হলেও সারা বছর ভিড় থাকে মন্দিরে। এছাড়াও এই পুজোকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন ধরেই হয় মেলা। থাকে নানান সাংস্কৃতিক আয়োজনও। বর্তমানে মন্দিরের সামনে পুকুর এবং মন্দিরের সংস্কার করা হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন লোকসভার ভোটের জন্য জনসংযোগ করেন ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অভিনেতা দেব। সোমবার সন্ধ্যায় মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দীপক অধিকারী তথা দেবকে মন্দির কমিটির তরফ থেকে সম্বর্ধনা জানানো হয়। অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইঞা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা মাইতি, বিধায়ক অজিত মাইতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ মুখার্জি সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। সমগ্ৰ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নান্টু দোল‌ই। স্বাভাবিকভাবে মাঠের মাঝে গরমের সময়ে এই মেলায় ভক্তদের বিশ্বাস মিলেমিশে একাকার। মন্দিরকে কেন্দ্র করে স্থানীয় প্রশাসন এবং মন্দির কর্তৃপক্ষ বেশ তৎপর থাকেন এই মেলার দিনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *