Arup Chakraborty, central force, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী

সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২৭ মার্চ: কেন্দ্রীয় বাহিনীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। নির্বাচনী প্রচারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যদি শীতলকুচির মত গুলি চালিয়ে ভোটারদের ভয় দেখাবেন তাহলে তার ফল কিন্তু ভালো হবে না। কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালালে ফল অন্যরকম হবে। অরূপবাবুর এই বক্তব্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

অরূপবাবুর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির প্রার্থী ডাঃ সুভাষ সরকারের খোঁচা, তৃণমূল প্রার্থীর কি আইন শৃঙ্খলা নষ্ট করার কোনো পরিকল্পনা রয়েছে? তাই কি এই হুমকি। নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার নিয়ে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। গতকালই কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধি কমিশনের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রতিদিন আপডেট করা হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধি নিয়ে প্রতিদিন কমিশনকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তাদের। এই নির্দেশিকা জারি হতেই অরূপ চক্রবর্তীর এই বক্তব্যকে পরোক্ষে হুমকি বলেই মনে করছেন সুভাষ সরকার।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অরূপ চক্রবর্তী শালতোড়া বিধানসভার মেজিয়ায় প্রচারে বেড়িয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আমরা গোলাপ ফুল দিয়ে স্বাগত জানাবো। বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমরা শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করো, কিন্তু গুলি চালাবে না। গুলি চালালে ফল অন্যরকম হবে।

তৃণমূল প্রার্থীর এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার বলেন, বাহিনীকে গোলাপ দিয়ে স্বাগত জানেবেন অরূপ চক্রবর্তী। তারমানে উনি স্বীকার করে নিলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন আছে। তবে অযথা কেন গুলি চালাতে যাবেন? তাহলে কি তৃণমূল প্রার্থী অন্যান্য নির্বাচনের মতো বোম, বন্দুক দিয়ে আইন শৃঙ্খলা নষ্ট করার পরিকল্পনা করে রেখেছেন?”

এদিকে বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের ছেলে সোমরাজ সরকারও চিকিৎসক। বাঁকুড়া শহরে তাদের একটি নার্সিং হোমও রয়েছে। সেখানে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় গতকাল বড় রকমের ঝামেলা হয়। সেই প্রসঙ্গ তুলে অরূপ চক্রবর্তী বলেন, সুভাষবাবু না হতে পারলেন ভালো ডাক্তার, না হতে পারলেন ভালো পলিটিশিয়ান। অথচ তিনি ৪০ বছর ধরে রাজনীতি করছেন। আইনজীবীও বটে। সুতরাং আইন কাকে বলে সেটা ভালো মতোই বোঝেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *