সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৭ মার্চ: প্রতিবেশী গৃহবধূকে প্রতিনিয়ত উত্তক্ত করে কু- প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গাছে বেঁধে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হলো। আর এই কাজ করলেন ওই গৃহবধূ নিজেই। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার কুলবেড়িয়ার কাঁঠালবাগান গ্রামে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তর নাম মিঠুন হালদার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বাগদা থানার কুলবেড়িয়ার কাঁঠালবাগান গ্রামে বসবাস ওই গৃহবধূর। পাশেই থাকে মিঠুন হালদার নামে এক যুবক। ওই গৃহবধূ যুবকের কাকিমা সম্পর্কীয় আত্মীয় হন। বছর দু’য়েক ধরে ওই গৃহবধূর স্বামী কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে রয়েছেন। দুই ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে একাই থাকেন তিনি। অভিযোগ, এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মিঠুন প্রায়ই তাকে ফোন করে কু- প্রস্তাব দেয়। শুধু তাই নয়, ভয় দেখাতে রাতের দিকে তার বাড়ির আশপাশে হাতে দাঁ নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। এর আগেও সে এই ধরনের অশালীন আচরণ করায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
জামিনে ছাড়া পেয়ে ফের সে একই ধরনের আচরণ শুরু করে। বুধবার ভোররাতে আবারও সে ওই গৃহবধূর বাড়িতে হাজির হয়। জানালা দিয়ে তার মুখে টর্চের আলো ফেলে। মহিলা প্রতিবাদ করতেই তাকে কু- প্রস্তাব দেয়। একই সঙ্গে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। এরপর ওই গৃহবধূ একটি গামছা এনে প্রতিবেশীদের ডেকে অভিযুক্ত যুবক মিঠুনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে বাগদা থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
অভিযুক্ত মিঠুনের মা মনিরা হালদার বলেন, ‘আমার ছেলে এর আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। ওই মহিলা সম্পর্কে মিঠুনের কাকিমা হয়। তা সত্ত্বেও এমন অন্যায় কাজ করছিল। আমি বারণ করলে উল্টে আমাকেই মারধর করতো।’