আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ৩১ মার্চ: টোটো ভাড়াকে কেন্দ্র করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আদিবাসী মহিলাকে মারার চেষ্টা চালকের। এলাকার মানুষ টোটো চালককে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ঘটনাস্থল রামপুরহাটের বগটুই মোড়।
জানা গিয়েছে, ইদের উৎসবে অংশগ্রহণ করতে রামপুরহাট থানার বড়পাহাড়ি মোড় থেকে পাঁচজন আদিবাসী একটি টোটো ভাড়া করে। মাথা পিছু ৩০ টাকা করে নিয়ে তাদের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চালক বগটুই মোড়ে এসে গ্রামে যেতে অস্বীকার করে। এমনকি ধার্য ভাড়ার থেকে বেশি দাবি করে। এনিয়ে বচসা চলাকালীন টোটো চালক ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারার চেষ্টা করে আদিবাসী যাত্রীদের। সেই সময় স্থানীয় মানুষজন টোটো চালককে ধরে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ টোটো চালককে আটক করে নিয়ে যায়।
টোটোর যাত্রী বিটি মুর্মু বলেন, “আমাদের বাড়ি মুর্গাডাঙ্গা গ্রামে। প্রতিবছর ইদের সময় আমরা বগটুই গ্রামে উৎসবে অংশগ্রহণ করি। খাওয়াদাওয়া সেরে সন্ধ্যার দিকে ফিরে যাই। সেই মতো টোটো ভাড়া করে বগটুই গ্রামে যাচ্ছিলাম। কিন্তু চালক ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বগটুই মোড়ে আমাদের নামিয়ে দেয়। বগটুই গ্রামের ভিতর যেতে অস্বীকার করে। এমনকি যে ভাড়ার কথা হয়েছিল তার থেকে বেশি ভাড়া দাবি করে। আমি তাকে দুশো টাকা দিয়েছিলাম। আমাকে পঞ্চাশ টাকা ফেরত না দিয়ে পালাচ্ছিল। তাকে ধরতেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারতে আসে। আমার চিৎকার শুনে এলাকার মানুষ ছুটে এসে টোটো চালককে ধরে ফেলে। পরে পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যায়।
গ্রামের বাসিন্দা তথা বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান নুর আলম শেখ বলেন, “আমি উৎসবে ব্যস্ত ছিলাম। পুলিশ থেকে ফোনে পেয়ে এসে দেখি টোটো চালকের সঙ্গে ঝামেলা চলছে। এসে শুনলাম টোটো চালক আদিবাসীদের মারতে গিয়েছিল। ওরা প্রতিবছর গ্রামে আসে। সারাদিন গ্রাম ঘুরে খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি কিছু পয়সা তুলে বাড়ি ফিরে যায়। এবারও সেরকমই তারা এসেছিল। ওই টোটো চালক আমাদের গ্রামের নয়। আমরা গ্রামে আর অশান্তি করতে দেব না।”