আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, বীরভূম, ২৬ ফেব্রুয়ারি: মূক ও বধির গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি করলে দু’জনকেই খুনের হুমকি দেয় অভিযুক্ত। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী তাপস মণ্ডল। অভিযুক্তর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন গৃহবধূর স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মুরারই থানার রামনগর গ্রামে।
ওই গ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর মঙ্গলবার সকালে অন্যান্য দিনের মতো কাজে বেরিয়ে যান। সেই সময় বাড়িতে একা ছিলেন মূক ও বধির স্ত্রী। বাড়িতে তাঁকে একা পেয়ে গ্রামের বাসিন্দা তাপস মণ্ডল গৃহবধূকে ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করে। স্বামী বাড়ি ফিরে দেখেন দরজা বন্ধ। অনেক ধাক্কাধাক্কি, চিৎকার করার পর অভিযুক্ত তাপস দরজা খুলে স্বামীকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। যাওয়ার আগে শাসিয়ে যায় বিষয়টি জানাজানি করলে দু’জনকেই প্রাণে মেরে ফেলা হবে।
গৃহবধূর স্বামী বলেন, “অভিযুক্ত তাপস পালিয়ে যাওয়ার পর স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়ে। এরপর কিছুটা স্বভাবিক হয়ে সে নিজের ভঙ্গিতে ধর্ষণের কথা জানায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমি থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। এরপর থেকেই আমার উপর অত্যাচার শুরু হয়েছে। তৃণমূলের লোকজন আমার বাড়ির শৌচালয় বন্ধ করে দিয়েছে। বাড়ির জলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।” এই ঘটনার পর গৃহবধূর স্বামী বুধবার সকালে ফের মুরারই থানায় আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁর দাবি, গ্রামে গেলেই মারধর করবে তৃণমূলের লোকজন। অথচ আমিও তৃণমূল করি। কিন্তু ওদের সঙ্গে লোকজন বেশি। তাছাড়া অভিযুক্ত তাপসের স্ত্রী পঞ্চায়েতের সদস্যা। তাই ভয়ে পালিয়ে থানায় আশ্রয় নিতে হয়েছে।
তাপস মণ্ডল গা ঢাকা দেওয়ায় তার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে একই অঞ্চলের বাসিন্দা, তৃণমূলের মুরারই ১ নম্বর ব্লক সভাপতি বিনয় ঘোষ বলেন, “উপ প্রধান হুমায়ুন কবিরকে পাঠিয়েছি তদন্তের জন্য। যদি ঘটনা সত্যি হয় তাহলে তাপসকে বলব আত্মসমর্পণ করতে। পুলিশ আইনত ব্যবস্থা নেবে।”