কুমারেশ রায়, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৫ ফেব্রুয়ারি: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের একাংশের বিরোধিতা করে মহা মিছিল দাসপুরে। চন্দ্রেশ্বর নদী খনন প্রতিবাদ কমিটির ডাকে এই মহামিছিল। মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের পরিকল্পনার প্রথমেই এই আন্দোলনে সরকার কী পদক্ষেপ করে সেটাই দেখার।
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের পরিকল্পনাগুলির মধ্যে একটি হলো চন্দ্রেশ্বর খাল খনন। চন্দ্রেশ্বর খাল খনন করলে পার্শ্ববর্তী কৃষি জমি প্লাবিত হবে, তাই খনন করতে দেওয়া হবে না। এই দাবিতে চন্দ্রেশ্বর নদী খনন প্রতিবাদ কমিটি মহামিছিলের ডাক দেয়। এর আগেও ওই কমিটি কয়েকটি প্রতিবাদ মিছিল করেছে। ওই কমিটির সম্পাদক হরেকৃষ্ণ জানা বলেন, আমরা কোনো ভাবেই চন্দ্রেশ্বর খাল খনন করতে দেব না। প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবো।
গত লোকসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রাজ্য সরকার নিজেদের অর্থে রূপায়ণ করার প্রস্তুতি শুরু করেছে। প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে, চলছে জমি চিহ্নিতকরণ সহ অন্যান্য কাজের প্রস্তুতি। তৈরি হয়েছে জেলা এবং অন্যান্য সাব কমিটি। শিলাবতী নদীর জলে ঘাটাল পৌরসভা এলাকা প্লাবিত হয়।
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের পরিকল্পনাগুলির মধ্যে একটি হলো, চন্দ্রেশ্বর খাল সম্প্রসারিত করে শিলাবতী জলপ্রবাহের একটি অংশ ওই খালের মাধ্যমে রূপনারায়ণ নদে পৌঁছানো। সম্প্রসারিত ৫.৮ কিলোমিটার অংশ প্রধানত কৃষি জমি। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুযায়ী বন্যার সময় শিলাবতী নদীর জল প্রবাহর একটি অংশ সম্প্রসারিত খালের স্লুইস গেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এর ফলে পার্শ্ববর্তী কৃষি জমি প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু ওই এলাকার বাসিন্দারা এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করে বলেছেন, যদি ওই পরিকল্পনা কার্যকরী হয় তাহলে ওই এলাকা প্লাবিত হয়ে কৃষি জমি প্লাবিত হবে। এর প্রতিবাদে ওই এলাকার মহিলা সহ বাসিন্দারা মহা মিছিলে সামিল হয়েছেন।