TMC, Bankura, “বদমায়েশি করলে তার ওষুধ আছে,” হুঁশিয়ারি বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতির

সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২১ মে: বদমায়েশি করলে তার ওষুধ আছে, সেই ওষুধ দেওয়া হবে বলে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল জেলা সভাপতি তারাশঙ্কর রায়ের এই মন্তব্যকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। এই হুঁশিয়ারি সূচক মন্তব্য দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে, নাকি বিরোধী দলের প্রতি?

গতকাল তালডাংরায় দলীয় কার্যালয়ে এক কর্মিসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, দল যদি মনে করে আমার থেকেও শক্তিশালী কেউ এই চেয়ারটার যোগ্য, তাহলে আমি এই পদ ছেড়ে দিতে রাজি।” জেলার ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের বক্তব্য, তারাশঙ্করবাবুর এই মন্তব্যে স্পষ্ট যে, তিনি নিজেই তার নতুন পদপ্রাপ্তি নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছেন। দলের সকলকে একসুতোয় বাঁধা তার পক্ষে কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে তিনি নিজেই সন্দিহান। দলের অন্দরে এনিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা মতামত উঠে আসছে। এমনকি তাও ক্রমশ প্রকাশ পাচ্ছে।

এই সভায় কর্মীদের উদ্দেশ্যে তারাশঙ্করবাবুর বলেন, “যে বদমায়েশি করবে তার ওষুধ আমার কাছে আছে।” সেই ওষুধও দেওয়া হবে। জেলা রাজনীতির ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, নিজের ওপর আস্থা না থাকার বিষয়টি উপলব্ধি করে লোক দেখানো যোগ্যতা প্রমাণ করতেই তিনি এই মন্তব্য করেছেন। তার এই মন্তব্য বিজেপি সহ বিরোধী দলের নেতা ও কর্মীদের উদ্দেশ্যে, নাকি প্রচ্ছন্ন ভাবে দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে তা স্পষ্ট নয়।

উল্লেখ্য, অরূপ চক্রবর্তীর জায়গায় তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি করা হয়েছে তারাশঙ্কর রায়কে। অন্যদিকে তারাশঙ্করবাবুর ‘ওষুধ দেওয়ার’ বিষয়ে পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূলের নেতারা আপাদমস্তক দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে। তা সভাপতি ভালমতোই জানেন। তিনি এভাবেই দলীয় নেতাদের সতর্ক করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *