সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২১ মে: বাংলাদেশের স্থল বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা মোদী সরকারের। জারি করেছে নয়া বিজ্ঞপ্তি। রবিবারের ওই নির্দেশিকার প্রভাব পড়ল উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল সীমান্তে। তবে ঘোজাডাঙা স্থলবন্দরে স্বাভাবিক আছে বাণিজ্য।
পেট্রাপোল বন্দর সূত্রে খবর, রোজ প্রায় ১৫টি পণ্য বোঝাই ট্রাক ওপার বাংলা থেকে ভারতে আসত। সেগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। তাই ব্যবসার পরিবেশ ফিরে পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
এদিন বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশি পোশাক, খাবার, নানা জিনিসপত্র আর স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করবে না। প্যাকেটের পানীয়, কাঠের আসবাবপত্র এবং অন্যান্য সামগ্রী অসম, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মেঘালয় এবং বাংলার চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে না। বাংলাদেশের বস্ত্র এবং সুতির থান পেট্রাপোল এবং অন্য কোনও স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে আমদানি হবে না ৷ শুধু কলকাতা এবং মুম্বই বন্দর দিয়ে সেগুলি এদেশে আসবে। এই নির্দেশিকায় পেট্রাপোল বন্দরে ৩৬টি ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে।
বাংলাদেশের আমদানিকারক এক ব্যক্তি বলেন, ভারত সরকারের এই নির্দেশিকা জারির কারণে বাংলাদেশের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা। বাংলাদেশ ভারতে বছরে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন তথা ৭০ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি করে। যা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মূল বিষয়। ভারত স্থলবন্দর বন্ধ করায় এখন বাংলাদেশি পোশাক শুধুমাত্র দেশটির দুটি সামুদ্রিক বন্দর দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। এর ফলে খরচ অনেক বেশি হবে।
এই বিষয়ে পেট্রাপোল শুল্ক দফতরের ডেপুটি কমিশনার দিব্যেন্দু দাস বলেন, ‘রেডিমেড পোশাক আমদানি বন্ধের নির্দেশিকা জারি হয়েছে। তার প্রভাব পড়ছে পেট্রাপোল বন্দরে। সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে পোশাক আমদানিতে খরচ বাড়বে এবং সময়ও বেশি লাগবে।’