আমাদের ভারত, ২৬ ফেব্রুয়ারি: বিশ্বকর্মা পুজোর ছুটি বাতিল করে ইদে দু’দিন ছুটি। কলকাতা পুরসভার শিক্ষা বিভাগের এই নোটিশ ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
এই নোটিশটির বিরুদ্ধে সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সোশ্যাল মিডিয়ায় নোটিশটির ছবি পোস্ট করে সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন, কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ইসলামীকরণের সংকল্প পূরণের কাজ শুরু হয়ে গেছে?
পুরসভা সূত্রে খবর, কলকাতা পুর এলাকায় হিন্দি এবং উর্দুভাষী স্কুলগুলির ছুটির জন্য যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল তাদের বিশ্বকর্মা পুজোর ছুটি বাতিল করে দু’দিন ছুটি দেওয়া হয়েছিল ঈদের জন্য। পুরসভায় শিক্ষা বিভাগের চিফ ম্যানেজার সিদ্ধার্থ ধারা এই নোটিশ জারি করেছেন
এই নোটিশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি এর জন্য রাজ্যের শাসক দলের তোষণের রাজনীতিকে দায়ী করে রাজ্যে ইসলামীকরণের উদ্যোগ বলে ববি হাকিমের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, “পুর বিদ্যালয়গুলিতে দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা পুজোর জন্য নির্ধারিত ছুটি বাতিল করে ইদ-উল-ফিতরের জন্য একদিন অতিরিক্ত ছুটির নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা পুরসভার শিক্ষা দফতর। কলকাতা শহরে ‘মিনি পাকিস্তান’-এর উদ্ভাবক এবং পশ্চিমবঙ্গে দাওয়াত-এ-ইসলামের প্রবর্তক ফিরহাদ সুরহাবর্দি হাকিমের ইসলামীকরণের সংকল্প পূরণের কাজ শুরু হয়ে গেছে?” তিনি প্রশ্ন তুলে লিখেছেন, “রাজ্যের তোষণ সর্বস্ব, ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পূর্ণ সম্মতি এবং প্রশ্রয় ছাড়া এমন অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটা কি স্বাভাবিক?” এরপর তিনি হিন্দু বাঙালিদের উদ্দ্যেশ্য লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে বাঙালি হিন্দুর অস্তিত্ব রক্ষার জন্য রাজ্যবাসীর ভাবার সময় এসে গেছে।”
বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই আধিকারিককে শোকজ করা হয়েছে বলে জানাগেছে। ওই আধিকারিক নাকি পুর কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই নোটিশ ছেড়েছেন। তিন দিনের মধ্যে তাকে এই কাজের কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, তারা নোটিশ সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। নোটিশটি বাতিল করা হয়েছে। পুর কমিশনার ধবল জৈন বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা না করে এই নোটিশ জারি করা হয়েছিল। কলকাতা পুরসভা নোটিশ সম্পর্কে কিছুই জানতো না। তাই এটি বাতিল করা হয়েছে।