আমাদের ভারত, ২৭ মার্চ: চলতি সপ্তাহের প্রথম থেকেই উষ্ণতার পারদ ঊর্ধ্বমুখী। ইতিমধ্যে আবহাওয়া দপ্তর বা মৌসম ভবন উত্তর-পশ্চিম ভারতের তাপপ্রবাহের দিনের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবে অন্য বছরের চেয়ে বেশি গরমের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে এবার সকলকেই। সাধারণত এই অঞ্চলে গরমের মরসুমে ৫-৬ দিন তাপপ্রবাহ লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু চলতি বছরের ১০ থেকে ১২ দিন তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। তারা জানিয়েছে, আমরা এই গ্রীষ্মের পশ্চিম এবং মধ্য ভারতের স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি হবে বলে আশা করছি।
পশ্চিম ভারতে সাধারণত ৫ থেকে ৬ দিন তাপপ্রবাহ থাকে। তবে এ বছর ব্যতিক্রম রয়েছে। চলতি বছরের ১০-১২ দিন লু বইবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যা স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণ।
২০২৪ সাল ছিল ভারতের ইতিহাসে সবথেকে উষ্ণতম বছর। সেই বছর দেশের মোট ৫৫৪টি তাপপ্রবাহের দিন রেকর্ড করা হয়। সমতলভূমিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমপক্ষে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছালে বা স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ ডিগ্রি বেশি হলে তাকে তাপপ্রবাহ বলে মনে করা হয়।
মৌসম ভবন সূত্রে খবর, ২০২৫ সালের মার্চ মাসে মাসিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ভারতের বেশিরভাগ অংশের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতের দক্ষিণের কিছু অংশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী চলতি সপ্তাহে শেষের দিকে কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭° সেলসিয়াস হতে পারে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রামের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রিতে পৌঁছে যেতে পারে। আগামী তিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা তিন থেকে চার ডিগ্রি পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে তাপপ্রবাহের কোনো আশঙ্কা নেই। শুকনো গরমে চরম অস্বস্তি হবে। আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গে।
তাপপ্রবাহের এইরকম পূর্বাভাসের প্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে সতর্কতা জারি করা হতে পারে। এ সময় জল পান করা, যত সম্ভব রোদ এড়িয়ে চলা এবং হালকা পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়া হবে।