আমাদের ভারত, ৩ এপ্রিল: শীর্ষ আদালতে বাতিল হয়ে গেল ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ হওয়া গোটা প্যানেল। যা শাসক দল তৃণমূল তথা রাজ্য সরকারের ‘নতুন বিড়ম্বনা’ বলে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হতে শুরু করেছে। মুস্কিল আসানের পথ খুঁজতে মরিয়া তৃণমূল
গত বছর ২২ এপ্রিল ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কালক্ষেপ না করে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “আমরা কারও চাকরি খেতে দেব না।” ঠিক এক বছর পর এ বছরের এপ্রিলে সুপ্রিম কোর্টও হাইকোর্টের সেই নির্দেশই বহাল রাখল।
তৃণমূলের অন্দরের আলোচনায় প্রাথমিক ভাবে দু’টি অভিমত উঠে আসছে। একাংশের বক্তব্য, নিয়োগে অনিয়ম নিয়ে রাজ্য সরকার সম্পর্কে জনমানসে যে ‘নেতিবাচক ধারণা’ রয়েছে, তা আরও দৃঢ় হল। আরও এক বার কমিশনের ‘অপদার্থতা’ বেআব্রু হয়ে গেল। তবে শাসক দলের অন্য অংশ এর মধ্যেও ‘ইতিবাচক’ দিক খুঁজতে চাইছে। তাদের বক্তব্য, তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেলে এই ধারণা আর থাকবে না। ফলে আগামী বছরের বিধানসভা ভোটেও এর কোনও প্রভাব পড়বে না।
গত বছর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় প্রথম দফায় ভোট হয়েছিল ১৯ এপ্রিল। দ্বিতীয় দফার ভোট ছিল ২৬ এপ্রিল। প্রথম দফার ভোট হয়ে যাওয়ার পরে এবং দ্বিতীয় দফার ভোটের ঠিক আগে কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ সালের এসএসসির পুরো প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল।