আমাদের ভারত, ২০ আগস্ট: আর জি কর মেডিকেল কলেজে এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালতে আরজিকর মামলার শুনানি ছিল। সে শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, চিকিৎসকরা যাতে আবার কাজে ফিরতে পারেন তাই আমরা আরজিকর হাসপাতালে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করছি।
শুধু হাসপাতাল চত্বরেই নয়, সিআইএসএফ মোতায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আরজিকরের হোস্টেলেও। বিমানবন্দর, কয়লা খনির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে সিআইএসএফ। এছাড়াও ভোটের সময়েও এই বাহিনীকে ব্যবহার করা হয়। হাসপাতালের নিরাপত্তাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতেই আরজিকরে সিআইএসএফ মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট বলে মনে করা হচ্ছে।
তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই উত্তাল হয়েছে আরজিকর। লাগাতার বিক্ষোভ চলেছে হাসপাতাল চত্বরে। হাসপাতালের নিরাপাতা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আন্দোলনকারীরা একদিকে যেমন ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার বিচারের দাবি করেছেন, তেমনি তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিতেও সরব হয়েছেন। এই আন্দোলন কেবল হাসপাতালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, রাজ্য সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। দিল্লির এইমস সহ বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মবিরতি চলছে। আজ আন্দোলনরত চিকিৎসকদের এবার কাজে ফেরার অনুরোধ করেছেন প্রধান বিচারপতি।
মঙ্গলবার আরজিকর মামলার শুনানিতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে। শহরে মেয়েদের রাত দখল কর্মসূচি চলাকালীন একদল দুষ্কৃতি আরজিকর হাসপাতালে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সহ একাধিক জায়গায় ব্যাপক ভাঙ্গচুর করা হয়। সেই ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তা নিয়ে আরও জোড়ালো প্রশ্ন ওঠে।
মঙ্গলবার শুনানিতে বিষয়টি উত্থাপন করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতির ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, আমরা খুবই চিন্তিত। প্রতিবাদকারীদের বাধা দিতে বল প্রয়োগ করে রাজ্য। আমরা কিছুতেই বুঝতে পারছি না স্বাধীনতা দিবসের দিন রাজ্য কিভাবে হাসপাতালে ভাঙ্গচুর করতে দিল?
মঙ্গলবার শুনানিতে চিকিৎসকদের পক্ষের আইনজীবীরা আরজিকরের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাদের বক্তব্য, গত ১৪ আগস্ট যে তাণ্ডব হয়েছে তার পর থেকে হাসপাতালে কাজ করতে ভয় পাচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা।তারপরই পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর মন্তব্য, পুলিশ নিরাপত্তা দিতে না পেরে পালিয়ে গিয়েছিল।