সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২৬ মার্চ: জেলার চাষিদের সঙ্গে রাজ্য কৃষি দপ্তর প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ করেছেন সোনামুখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামী। শষ্য বিমা নিয়ে কৃষি দপ্তর প্রকাশ্যে যা ঘোষণা করেছেন বাস্তবে তা করছেন না। এতে ক্ষোভ বাড়ছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে। জেলা কৃষি দপ্তর ও প্রশাসন এব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী।
তাঁর অভিযোগ, অতি বর্ষণ ও ডিভিসির সেচের জল ছাড়ার ফলে যে বন্যার সৃষ্টি হয়, তাতে ডুবে যায় হেক্টরের পর হেক্টর জমির ধান সহ বিভিন্ন শষ্য। জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল ফসলের। সেই সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণের বিষয়ে কৃষকদের আশ্বস্তও করা হয়েছিল বলে তাঁর অভিযোগ। বিধায়কের বক্তব্য, সেই সময় স্পষ্টই বলা হয়েছিল যে, শস্যবিমা থাকলে প্রত্যেকে ক্ষতিপূরণের টাকা পাবেন। সেই ঘোষণার সাত মাস পার হয়ে গেলেও ক্ষতিপূরণের কোনো টাকা পাননি কৃষকরা। এমনকি ক্ষতিপূরণের দাবিতে বারবার আবেদন ও আন্দোলন করেও মেলেনি সুরাহা।এনিয়ে জেলার চাষীদের মধ্যে বাড়ছে হতাশা ও ক্ষোভ। তারা চরম ক্ষতিগ্রস্থ।দেনায় তারা জর্জরিত।
এবিষয়ে অবশ্য মুখ খোলেনি কৃষি দফতর। স্থানীয় বিজেপি বিধায়কের দাবি, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সঙ্গে প্রতারণা করছে রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য, বর্ষায় দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ছাড়া অতিরিক্ত জলে বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের উত্তর নিত্যানন্দপুর, কেনেটি মানা, পান্ডে পাড়া, সমিতি মানা, রাঙামাটি সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে বন্যা হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল গ্রামগুলি সংলগ্ন হাজার হাজার বিঘে আমন ধান ও সবজির জমি। স্থানীয় কৃষকদের বক্তব্য, সব জমির ফসলই ছিল শস্য বিমার আওতায়। বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিমার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল প্রশাসন ও কৃষি দফতর। কিন্তু ৭ মাস কেটে গেলেও ক্ষতিপূরণ পাননি স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। বিমার ক্ষতিপূরণের দাবি নিয়ে প্রশাসনের দরজায় বারবার আবেদন করেছেন তারা। এমনকি বিডিও অফিস থেকে ব্লক কৃষি আধিকারিকের দফতরে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন তারা। পথ অবরোধ করেও দাবি জানিয়েছেন। তাতেই বেড়েছে তাদের হতাশা। ক্ষতিপূরণের টাকা না পাওয়ায় চরম দুর্দশায় দিন কাটছে কৃষকদের। মহাজনের ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না তারা।