Rudranil Ghosh, TMC, শিবপুরে উপদ্রুত অঞ্চল দেখে তৃণমূলকে কড়া কটাক্ষ রুদ্রনীলের

আমাদের ভারত, হাওড়া, ২৬ মার্চ: হাওড়ায় উপদ্রুত অঞ্চল দেখে তৃণমূলকে কড়া কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ।

সামাজিক মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, “তৃণমূলের উন্নয়নে নরককুন্ড হাওড়া। ১৬টি ওয়ার্ড জলহীন। প্রায় ১০০ ঘর ধ্বংস, হাজার খানেক মানুষ গৃহহীন, বিদ্যুৎহীন। ময়লা ফেলা ভ্যাটের (গার্বেজ ডাম্পিং গ্রাউন্ডে) নিচে বিষাক্ত মিথেন গ্যাসের চাপে এলাকায় ধস।রাস্তা ফুলে ফেটে আট ফুট উঁচুতে।

ঘটনা শিবপুর বিধানসভা (৬ নম্বর ওয়ার্ড) ও বালি বিধানসভা কেন্দ্রের মাঝে ধাপা অঞ্চল। কারণ, তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে খুনোখুনির আশঙ্কায় ২০১৮ থেকে হাওড়া পুরসভা কাউন্সিলর ও মেয়রহীন। ফলে কাউন্সিলারহীন অচল হাওড়ায় ড্রেন, জল সহবরাহ, ময়লা পরিষ্কার মহাশূন্যে।

তৃণমূল নেতারা হয় প্রোমোটার বা জমির দালাল, নয় তোলাবজিতে মত্ত। এরা ভোটার কার্ড ধরিয়ে ভোটার বানায়, কিন্তু তাদের মানুষের সম্মান দেয়না। শিবপুরের তৃণমূল বিধায়ক মনোজ তিওয়ারি বা সাংসদ প্রসূনবাবু সম্পূর্ণ বেপাত্তা। মমতা ব্যানার্জির আশীর্বাদধন্য বনেদী দূর্নীতিবাজ অরূপ রায়ের মতো মন্ত্রীরা একবার এলায় এসে “হুম দেখছি..আমাদের সরকার কিন্তু মানুষের পাশে আছে” এই বাণী দিয়েই খালাস। তিনি মানুষ বলতে কেবল চোর-জোচ্চোরদের পাশে রাজ্য সরকার আছে বোঝাতে চাইলেন হয়ত।

এই চরম বিপদে আবাস চুরির টাকা ফেরত দেবেন কিনা তা অরূপবাবু বলেননি ওই গৃহহারা গরিব সহায় মানুষদের। এই মানুষগুলোর কেন্দ্রের আবাস প্রকল্পের টাকা এরাই চুরি করেছে নির্লজ্জ ভাবে। মুশকিল হল, এই গৃহহীন মানুষগুলো তৃণমূলের প্রিয় অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা বা বাংলাদেশি নয়, তাই এদের নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই তৃণমূলের। যেন, মরুক মানুষ আমার তাতে কী!

এই আর্ত বিপন্ন মানুষের পাশে হাওড়া জেলা বিজেপি (সদরের) কর্মীরা যথাসাধ্য থাকছেন, জল, ত্রিপল, দুমুঠো পেটের ভাত দেবার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাতেও আবার তৃণমূলের চোখ রাঙানি, মানুষের পাশে থাকা চলবে না। এলাকার তৃণমূলের চাপে অসহায় পুলিশ উত্তরহীন ভ্যাবলাকান্ত দলদাস। পুলিশমন্ত্রী অক্সফোর্ড থেকে ইংরাজি শিখিয়ে দেশে ফিরলে, তবে পুলিশ তার কর্তব্যের অমূল্য জ্ঞান নিশ্চই পাবে। হায়রে পশ্চিমবঙ্গ!!!”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *