Eviction, Jhargram, ঝাড়গ্রামে রেলের জায়গায় বসে থাকা দোকানদারদের উচ্ছেদের নোটিশ, পুনর্বাসনের আশ্বাস সাংসদের

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ২৩ ফেব্রুয়ারি: ঝাড়গ্রাম রেল স্টেশনকে অমৃত ভারত রেল স্টেশনে রূপান্তর করা হচ্ছে। আকার আয়তনে বেড়ে উঠছে ঝাড়গ্রাম রেলস্টেশন। আর এই উন্নয়নের মাঝেই বিপদের মুখে রেল স্টেশনের বাইরে রেলের জায়গায় বসে থাকা ২২৭টি দোকানদার। ইতিমধ্যেই ৩১টি দোকানকে উঠে যাওয়ার নোটিশ দিয়েছে রেল। শনিবার সকালে চায় পে চর্চা কর্মসূচির মাধ্যমে দোকানদারদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কালীপদ সরেন। আশ্বাস দিয়েছেন পুনর্বাসন নিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার।

এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অজিত মাহাতো, শহর তৃণমূল কংগ্রেসের শহর সভাপতি তথা ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নবু গোয়ালা, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিপ্লব সিট। এছাড়াও সাংসদকে এলাকার ব্যবসায়ীদের সমস্যার কথা জানানোর জন্য হাজির ছিলেন সিপিআই এর শ্রমিক সংগঠনের নেতা গুরুপদ মন্ডল।

জানা গিয়েছে, দীর্ঘ ৪৪ বছর ধরে রেলকে ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করছে ব্যবসায়ীরা। ঝাড়গ্রামের সবজি বাজার রয়েছে রেলের জায়গাতে এছাড়াও মিষ্টি, স্টেশনারি সহ বিভিন্ন দোকান রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে পুনর্বাসনের বিষয় সুনির্দিষ্ট ভাবে না জানিয়ে মার্চের ১ তারিখের মধ্যে উঠে যাওয়ার নোটিশ ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের। হাতে নোটিশ পেয়ে চোখের ঘুম উড়েছে ৩১ জন দোকানদারের। ১ মার্চের মধ্যে ৭টি দোকান খালি করে দিতে হবে। বাকিগুলি প্রয়োজন অনুযায়ী রেলের পক্ষ থেকে জানানো হবে।

ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কালীপদ সরেন বলেন, “এলাকার মানুষজনের সঙ্গে জনসংযোগ করার জন্য আজ সকালে চায়ের দোকানে বসে মানুষের কথা শুনতে এসেছি। রেলের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি দোকান ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমি রেলের ঊর্ধ্বত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো দোকান ভাঙ্গার পূর্বে যেন তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়। সর্বদা আমি উনাদের পাশে রয়েছি।”

রেলের জায়গায় ভাড়া দিয়ে থাকা দিলীপ কর নামে এক দোকানদার বলেন, “আমরা দীর্ঘ ৪৪ বছর ধরে লিজ সিস্টেমে রেলকে ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করছি। পাকা স্থায়ী দোকান করা রয়েছে আমাদের। কিন্তু কোনো পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করেই উচ্ছেদের নোটিশ ধরিয়ে দিয়েছে আমাদের হাতে। হাতে বেশি সময় নেই। মার্চের ১ তারিখের মধ্যে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আমরা উন্নয়নের বিপক্ষে নই, কিন্তু পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের উচ্ছেদ করা চলবে না।”

যদিও ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কালীপদ সরেন দোকানদারদের আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, সকলকে পুনর্বাসনের জন্য রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *