Sukanta, BJP, বাংলাদেশের ছায়া পশ্চিমবঙ্গেও! বসিরহাট- তমলুকে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙ্গচুর, সরব সুকান্ত- শুভেন্দু

আমাদের ভারত, ৯ মার্চ: বাংলাদেশের মতো মন্দির ও প্রতিমা ভাঙ্গচুরের ঘটনা ঘটল পশ্চিমবঙ্গে। এর আগেও এই ধরনের ঘটনা এখানে ঘটেছে। কিন্তু বিজেপির অভিযোগ, এই ধরনের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা সদর্থক নয়। এমনকি এই ধরনের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে বারবার। তাই সংবাদ মাধ্যমেও তা প্রকাশ পায়নি বলে অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলের। বসিরহাট ও তমলুকের ঘটনার ছবি ও ভিডিও নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

সুকান্ত মজুমদার যে ছবি পোস্ট করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে, একটি মা কালীর মূর্তি ভাঙ্গা। ছবি দেখে মনে হচ্ছে দুষ্কৃতীরা রীতিমতো তান্ডব চালিয়েছে মন্দিরে। সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, এই ঘটনা বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নিন্দারিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সাকচুরো বাজার এলাকার। তিনি লিখেছেন, “ওই এলাকায় একটি মন্দিরে জোর করে ঢুকে কালী মাতার মূর্তি ভাঙ্গচুর করা হয়। মূর্তির হাত, পা এবং মাথা ভেঙ্গে দেওয়া হয়।”

তাঁর আরও অভিযোগ, এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে তৃণমূলের জেলা পরিষদের কর্মধ্যক্ষের কট্টর মৌলবাদী গোষ্ঠী শাহানুর মণ্ডল স্থানীয় হিন্দুদেরও মৃত্যুর হুমকি দিচ্ছে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে পুলিশও নীরব দর্শক হয়ে রয়েছে বলে লিখেছেন সুকান্ত মজুমদার।

মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি লিখেছেন, “যথেষ্ট হয়েছে। আপনি অথবা আপনার সরাসরি সমর্থিত মৌলবাদী দানব গোষ্ঠী যদি পশ্চিমবঙ্গকে “বৃহত্তর বাংলাদেশ” বলে মনে করেন, তাহলে আপনি একটি মিথ্যার স্বর্গে বাস করছেন। যতদিন আমরা বেঁচে থাকব, আমরা আপনাকে সনাতন হিন্দু ভক্তদের অনুভূতিতে আঘাত করতে দেব না। যদি রাজ্যের হিন্দুদের উপর বা তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে কোনও আক্রমণ হয়, তাহলে ভারতীয় জনতা পার্টি উপযুক্ত জবাব দেবে- প্রস্তুত থাকো।”

অন্যদিকে শনিবার তমলুক মহকুমার শ্রীরামপুরে একটি ক্লাব সংলগ্ন মন্দিরে দেব দেবীর মূর্তিতে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে উল্লেখ করে পোস্ট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি একটি ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করেছেন। সেখানে অন্ধকারে একটা মূর্তি পুড়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন,
“পশ্চিমবঙ্গেও মন্দির পুড়িয়ে দেওয়া এবং হিন্দু দেবদেবীর অবমাননার মতো জঘন্য ও ঘৃণ্য কার্যকলাপ হচ্ছে। এর মাধ্যমে উগ্র ও সাম্প্রদায়িক পরাধীনতার ওপার বাংলার সংস্কৃতি এখানেও অব্যাহত।” তাঁর আরও অভিযোগ, আশেপাশের এলাকার হিন্দুদের এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না, এমনকি সাংবাদিকদেরও বাধা দেওয়া হচ্ছে। তিনি ডিজিকে অনুরোধ করছেন, রাজ্যের পুলিশ ও মুখ্যমন্ত্রী অবিলম্বে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করুক এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *