আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ১০ ফেব্রুয়ারি: “রাজ্যের পুলিশ তৃণমূলের রেজিস্টার গুন্ডা হয়ে গেছে’ নৈহাটিতে অনুষ্ঠিত বিজেপির প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নিতে এসে পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে এমন মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
গত ৩১ জানুয়ারি নৈহাটির পানি ট্যাঙ্কি এলাকায় তৃণমূল কর্মী সন্তোষ যাদব খুন হন। ওই খুনের পিছনে বিজেপির নাম উঠে আসার পরেই রোষ গিয়ে পড়ে নৈহাটির গৌরীপুরে অবস্থিত বিজেপির লোকসভা নির্বাচনী কার্যালয়ের সিং ভবনে। খুনের ঘটনার পর সাংসদ পার্থ ভৌমিক এই খুনের জন্য প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং ও বিজেপিকে দায়ী করেন। এরপর তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওই কার্যালয় ভাঙ্গচুর ও অগ্নি সংযোগ করার অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীর বাড়িতেও ভাঙ্গচুরের অভিযোগ ওঠে। ওই খুনের ঘটনার প্রতিবাদে পার্থ ভৌমিকের নেতৃত্বে নৈহাটিতে মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস। আর রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি হয় বিজেপির মিছিল। নৈহাটির অরবিন্দ রোডের মুখ থেকে শুরু করে গৌরীপুর চৌমাথা মোড় পর্যন্ত এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, ব্যারাকপুরে প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং, কৌস্তব বাগচী প্রমুখ। এর পর শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্বের সঙ্গে ভাঙ্গচুর হওয়া সিং ভবনে উপস্থিত হন এবং সিং ভবনের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন।
এরপরই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী এদিন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা একটা জিনিসই চাই। পুলিশকে নিরপেক্ষ হতে হবে। আর আমরা তৃণমূলের জেহাদী মুসলিম নেতাদের বুঝে নেব। এখন হিন্দু শক্তি রয়েছে। সরস্বতী পুজোয় হিন্দুরা শক্তি দেখিয়েছে। তৃণমূলের যেসব মুসলিম নেতারা ভোট লুট করে তাদের হিন্দুরা বুঝে নেবে। তৃণমূলের সবচেয়ে বড় রেজিস্টার গুন্ডা হচ্ছে পুলিশ। সিপি, এসপি’র মত যে সমস্ত পুলিশ কর্তারা নীতি নির্ধারণ করেন তাদের যদি নির্বাচন কমিশন টাইট না দেয় পশ্চিমবঙ্গ আগামী দিনে বাংলাদেশের থেকেও খারাপ হবে। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের বাসভবনে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, এখানেও ঠিক একই জিনিস (নৈহাটিতে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়) ঘটানো হয়েছে। ভিতরে ধ্বংসস্তূপ করা হয়েছে।’
এদিন তিনি ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিককে গুন্ডা বলে কটাক্ষ করেন বলেন, এনএইচআরসি দ্বারা পার্থ ভৌমিককে আতঙ্কবাদী গুন্ডা ঘোষণা করা হয়েছে। ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন পার্থ ভৌমিককে গুন্ডা বলে ঘোষণা করে দিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট যে ১৯ জনকে গুন্ডা ঘোষণা করেছে তাদের মধ্যে পার্থ ভৌমিকের নাম আছে। এখানে পার্থ ভৌমিক ইভিএম বদল করে চুরি করে জিতেছে। আর অর্জুন সিং আর তার পরিবারের পেছনে পড়ে আছে। কিন্তু বিজেপি অর্জুন সিং’য়ের পাশে আছে। কিন্তু এর শেষ হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হলে এর শেষ হবে।”