আমাদের ভারত হয়, ২০ মে:
রাজ্যে পঞ্চম দফার ভোটে প্রথম থেকে উত্তপ্ত হয়েছে একাধিক কেন্দ্র। কোথাও বিরোধীদের এজেন্টকে বুথে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, কোথাও ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত হয়েছে তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী সমর্থকরা।
ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং এর বিরুদ্ধে বুথ জ্যাম করার অভিযোগ উঠেছে। অর্জুন সিং কে ঘিরে ধরে তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সেখানে। যদিও তৃণমূল এক মহিলা বিজেপি কর্মীর মাথা ফাটিয়েছে বলে পদ্ম শিবিরের অভিযোগ।
হুগলীর শ্রীরামপুরের একাধিক জায়গা উত্তপ্ত হয়েছে। সিপিএমের এজেন্টদের মেরে বার করে দিয়ে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ডোমজুড়ে একটি বুথে সিপিএম এজেন্টকে বেধড়ক মেরে তার ঘড়ি, ফোন ভেঙ্গে জামাকাপড় ছিঁড়ে বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তার কাছে থাকা সমস্ত কাগজপত্র ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যান সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর। আবার ওই এজেন্টকে তিনি বুথে বসার ব্যবস্থা করেন।
অন্যদিকে ডোমজুড়ের দেবী পাড়ায় বিজেপির ক্যাম্প অফিস ভাঙ্গচুর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
আবার ব্যারাকপুর লোকসভার আমডাঙায় ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেখানে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছতেই জুতো চটি ফেলে চাষের জমি ধরে পালাতে শুরু করে অভিযুক্তরা। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী আশ্বস্ত করলেও ভোটারদের চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ আছে।
হুগলির আরামবাগে তৃণমূল নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। শ্যামল রায় নামে তৃণমূল নেতাকে মারধর করা হয়েছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে খানাকুলে বিজেপির প্রধানের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়েছে বনগাঁ লোকসভার একাধিক জায়গা। নদীয়ার গয়েশপুরে বিজেপির মন্ডল সাধারণ সম্পাদক সুবীর বিশ্বাসকে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।