Mahakumbho, “ব্যবস্থাপনার গাফিলতি, বিশ্বাস হয় না”, দাবি পূণ্যার্থীর

আমাদের ভারত, কলকাতা, ২৯ জানুয়ারি: “মহাকুম্ভে যেটা হল, খুবই অনভিপ্রেত। কেউ কেউ ব্যবস্থাপনার গাফিলতিকে দায়ী করতে শুরু করেছেন। কিন্তু আমি নিজে যা দেখেছি, তাতে ওই অভিযোগকে মান্যতা দিতে পারছি না”। বুধবার এই প্রতিক্রিয়া দিলেন সদ্য প্রয়াগরাজ থেকে ফেরা পূণ্যার্থী, কলকাতার ডিজিটাল মার্কেটার অরবিন্দ দত্ত।

গত ২১শে নাগাদ একাই মহাকুম্ভে গিয়েছিলেন অরবিন্দবাবু। সবে ফিরেছেন। এই প্রতিবেদককে জানালেন, “পানীয় জলের জন্য ১২ হাজার কিমি সংযোগব্যবস্থা করা হয়েছে। ছবি তুলে রেখেছি। রাস্তায় জলের প্রচুর স্বয়ংক্রিয় ট্যাপ। বোতল রাখলে নিজে থেকে জল ভরে যাবে। এভাবে জলের অপচয় রোখার চেষ্টা হয়েছে।

অরবিন্দবাবুর মতে, সাফাইকাজ খুব ভাল। প্রতি কিমি-তে অন্তত ৩০ জন কর্মী। ১০০ মিটার অন্তর বর্জ্যবাক্স। গাড়ি করে কিছুক্ষণ পর পর ধুলো পরিস্কার করে দিচ্ছে। খাবারের যোগানও রয়েছে যথেষ্ঠ। প্রচুর ড্রোন। এআই দিয়ে নিখোঁজদের খুঁজে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, গঙ্গার ওপর গোটা ২৩ পন্টুনপুল। খুব ভিড় হচ্ছে এগুলোয়। এর মধ্যে কয়েকটি বন্ধ রাখা হচ্ছে। পূণ্যার্থীদের অনেকে অভিযোগ করছেন, ওগুলো কেবল ভিআইপি-দের জন্য রাখা। তাই বাকিগুলোয় ভিড় হচ্ছে। আদপেই তা নয়। পরিষেবা এবং আপৎকালীন সময়ের জন্য ওগুলো সর্বসাধারণের জন্য খুলে রাখা যায়নি।” এরকম তৈরি সেতুর ছবিও এই প্রতিবেদককে তিনি পাঠান।

অরবিন্দ দত্তের মতে, “যে কোনও উদ্যোক্তা বড় জমায়েত বা সমাবেশ হলে ভিড় নিয়ন্ত্রণেই বেশি গুরুত্ব দেয়। এখানে আয়োজন ও ব্যবস্থার ত্রুটি সেভাবে চোখে পড়েনি। ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নিশ্চয়ই পর্যাপ্ত ছিল। তাও কেন এরকম হল, তার বিবৃতি দেবেন কর্তৃপক্ষ। তবে পূণ্যার্থীরা যদি নিজেরা যথেষ্ঠ সংযত ও সতর্ক থাকেন, এ রকম দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমে যায়।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *