আমাদের ভারত, ২৪ মার্চ: রাজ্যের সীমান্তবর্তী জেলাগুলো থেকে পরিকল্পনা করে ভোটার তালিকা থেকে হিন্দুদের নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে নোটিশ পাঠিয়ে বিশেষ কৌশলে হিন্দুদের ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিচ্ছে তৃণমূল বলে অভিযোগ তাঁর।
আজ একটা নোটিশ হাতে নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দাবি করেন, ভোটার তালিকা থেকে ভুয়ো ভোটার সরানোর নামে বাংলায় বেশি বেশি হিন্দু ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার চক্রান্ত করছে তৃণমূল কংগ্রেস। নোটিশ দেখিয়ে তিনি দাবি করেছেন, উত্তর ২৪ পরগণার বাগদা বিধানসভার বাসিন্দা পলাশ বৈরাগী নামে একজনকে নোটিশ পাঠিয়েছেন বিডিও। তিনি দাবি করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এটি এক নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগণা সহ বিভিন্ন জেলায়। বনগাঁতেও এই নোটিশ হিন্দুদের পাঠানো হচ্ছে। যেখানে লেখা থাকছে “নট ইন্ডিয়ান” এবং তাকে বলা হচ্ছে তুমি প্রমাণ করো তুমি ভারতের নাগরিক।
এরপরই সুকান্ত মজুমদার মনে করিয়ে দেন, “এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন বাংলায় যারা বাস করে তারা সকলেই দেশের নাগরিক। সিএএতে তাদের অ্যাপ্লাই করতে দেননি। বলেছিলেন, সিএএ’তে অ্যাপ্লাই করলে আপনার নাগরিকত্ব চলে যাবে। আজ তাদের ফাঁদে ফেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদের নাগরিক নয় বলে দেগে দিচ্ছে। নোটিশ পাঠানো হচ্ছে আপনি ভারতীয় নাগরিক নন, আপনি ভোট দিতে পারবেন না। এই সমস্ত হিন্দু মতুয়া দলিতদের ভোট কাটার জন্য চক্রান্ত করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই সমস্ত কার্যকলাপ চলছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এইরকম একাধিক নোটিশের ছবি পোস্ট করে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, দেখুন, কীভাবে পশ্চিমবঙ্গের তোষণ সর্বস্ব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সনাতনী হিন্দুদের ভোটার তালিকা থেকে কৌশলে বাদ দিচ্ছেন। এই অযোগ্য মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে বাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন। সংখ্যালঘুদের উসকানি দিয়ে তিনি রাজ্যে অশান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছেন, কেবলমাত্র ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির স্বার্থে। এখন প্রকৃত ষড়যন্ত্র প্রকাশ্যে এসেছে। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে পরিকল্পিতভাবে হিন্দুদের নাম ভোটার তালিকা থেকে মুছে ফেলা হচ্ছে।
এরপর আশঙ্কা প্রকাশ করে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, “আর কতদিন বাংলার হিন্দুরা মমতার নির্লজ্জ তোষণের ফাঁদে পড়ে থাকবেন? সময় এসেছে জাগার, লড়ার, ও নিজের অধিকার পুনরুদ্ধার করার।”
বিজেপি আগেই দাবি করেছে সত্যি যদি পশ্চিমবঙ্গে ভুয়ো ভোটার ধরতে হয় তাহলে ভোটদানের আগে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পরিচয় যাচাই করা হোক।