আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ১৫ মার্চ: করোনার কোপে হিলির ব্যবসায়ীরা। ভিসার উপর ভারত সরকারের স্থগিতাদেশেই বন্ধ বাংলাদেশীদের আসা যাওয়া। হাত গুটিয়েই দিন কাটছে ব্যবসায়ীদের। গত দুদিন ধরে যাত্রীদের আনাগোনা না থাকায় ব্যবসায় মার খাচ্ছেন ছোট ছোট দোকানদারেরা। এক প্রকার জনশূন্যহীন হিলিতে ব্যবসা লাটে ওঠার জোগাড় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের হিলি চেকপোষ্ট দিয়ে আমদানি রপ্তানী চললেও বন্ধ হয়েছে পর্যটকদের আসা যাওয়া। ফলে একপ্রকার হাত গুটিয়ে দিন কাটছে ব্যবসায়ীদের।
হিলি আন্তর্জাতিক চেকপোষ্ট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ মানুষের আসা যাওয়া চলে। বাংলাদেশ থেকে সঠিক পরিচয়পত্র দেখিয়ে কেউ চিকিৎসার জন্য আবার কেউ ঘুরতে আসেন ভারতে। আর যাকে ঘিরেই প্রতিদিন ভালো ব্যবসা করেন এলাকার ছোট ছোট দোকানদাররা। তবে দুদিন আগে করোনা আতঙ্কে হিলি আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে বিশেষ নোটিশ জারী করে পর্যটকদের আসা যাওয়ার উপর লাগাম দিয়েছে ভারত সরকার। আর যার পরেই বহির্বানিজ্য স্বাভাবিক থাকলেও যাত্রীদের আসা যাওয়া নেই হিলিতে। ফলে ব্যবসায় মার খাচ্ছেন ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা।
বিপদ মজুমদার নামে এক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, প্রতিদিন হিলি সীমান্ত দিয়ে ৫০০ থেকে ৬০০ জন মানুষের আসা যাওয়া হয়ে থাকে। আর যাকে ঘিরে তাঁদের ব্যবসায় লাভের মুখ দেখেন হিলির ছোট বড় ব্যবসায়ীরা। কিন্তু করোনা নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকা জারী হতেই চেকপোস্ট একপ্রকার জনশুন্য হয়ে রয়েছে। লাটে উঠেছে তাদের ব্যবসা। ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন টোটো চালক থেকে অন্যান্যরাও।
হিলির শুল্ক দপ্তরের আধিকারিক সুব্রত সরকার জানিয়েছেন, হিলি সীমান্তে আন্তর্জাতিক বহির্বাণিজ্য স্বাভাবিক থাকলেও সাধারণ মানুষের আসা যাওয়া বন্ধ হওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা।