আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ১৫ মার্চ: জেনারেটার নেই, অন্ধকারে ডুবে তপন গ্রামীণ হাসপাতাল। মোমবাতি জ্বালিয়ে চলছে রোগীদের চিকিৎসা। খোদ প্রতিমন্ত্রীর এলাকায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এমন কঙ্কালসার চেহারা নিয়ে ক্ষোভ স্থানীয়দের। ঘটনায় সরকারি পরিষেবা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। সরকারি হাসপাতালে রাতের অন্ধকারে লোডশেডিং হতেই মশার কামড়ে অতিষ্ট হয়ে উঠছেন রোগীরা। নিজেদের অসুস্থতা কাটিয়ে উঠতে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হলেও মশার কামড় আরও দুর্বল করে তুলছে তাঁদের। এমন ঘটনায় কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন রোগী সহ রোগীর পরিবারের সদস্যরা।
এলাকার বাসিন্দাদের উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দিতে তপন গ্রামীণ হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের পাশাপাশি পুরুষ চিকিৎসকও রয়েছেন। বিশেষ করে রাতবিরেতে প্রসূতিদের পক্ষে অত্যন্ত সহযোগী হয়ে উঠেছে জেলার প্রত্যন্ত এলাকার তপন গ্রামীন হাসপাতালটি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এমন পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে তপন হাসপাতালের জেনারেটারের অভাবে সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন কোনও না কোনও কারণে লোডশিডিং হলেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সকলকে। শনিবার রাতে সামান্য ঝড় বৃষ্টিতে প্রায় ৩ ঘন্টা লোডশিডিং এর জেরে নাভিশ্বাস উঠে রোগীদের। অন্ধকারে ডুবে যায় হাসপাতাল চত্বর। মশার কামড়ে অতিষ্ট হয়ে ওঠেন রোগীরা। চিকিৎসক সহ স্বাস্থ্য কর্মীদের অবস্থাও একই হয়ে দাঁড়ায়। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই অনেক রোগীকে মোমবাতি জ্বালিয়েই চিকিৎসা পরিষেবা দিতে হয়েছে ডাক্তারদের।
হাসপাতালে ভর্তি মতিউর রহমান নামে এক রোগী জানিয়েছেন, লোডশিডিং হওয়ায় অন্ধকারেই থাকতে হয়েছে তাঁদের। তার উপর মশার কামড় আরও আসুবিধায় ফেলেছে।
হাসপাতালে রোগী ভর্তি করাতে আসা এক বাসিন্দা সুকান্ত লাহা জানিয়েছেন, হঠাৎ করেই লোডশিডিং হয়ে যাওয়ায় হাসপাতাল চত্বর অন্ধকারে ঢেকে যায়। মোমবাতি জ্বালিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়েছেন চিকিৎসকরা। দীর্ঘ দিন ধরেই চলছে এই অব্যবস্থা।
হাসপাতালের এক কর্মী সান্ত্বনা শীল জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিনের সমস্যা। জেনারেটার না থাকায় মাঝে মধ্যেই তাঁদের এমন অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়।
এলাকার বিজেপি নেতা অপূর্ব সরকার বলেন, এমন ঘটনা কখনোই শোভনীয় নয়। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।
রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বাচ্চু হাঁসদা জানিয়েছেন, বিষয়টি শুনেছেন। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চেয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন।