আমাদের ভারত, নদিয়া, ২৯ মার্চ: আবারো নদিয়ার শান্তিপুর পৌরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মুকুটে জুড়লো নয়া পালক। এবার, কায়াকল্প প্রকল্প পরিষেবায় জেলার প্রথম স্থান এবং রাজ্যের চতুর্থ স্থান দখল করলো নদিয়ার শান্তিপুর পৌরসভা পরিচালিত আরবান প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র।
আর কায়াকল্প কর্মসূচির মাধ্যমে বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিছন্নতা, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার বিভিন্ন বিষয় মূল্যায়ন করা হয়। গ্রাম এবং শহরাঞ্চলের স্বাস্থ্য কেন্দ্র উভয়ই এই কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে। তবে একেবারে কয়েকটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে নিয়ে এই মূল্যায়ন করা হয়।পরের দফায় বাকি অন্যান্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে নিয়ে মূল্যায়নের কাজ হয়।এইভাবে কয়েক দফায় সার্বিকভাবে সমস্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে, তবে সম্প্রতি রাজ্যের শহরাঞ্চলের পুরসভা এবং পুর নিগম পরিচালিত কয়েকটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে নিয়ে এই মূল্যায়ন করা হয়।পরবর্তী সময়ে অন্যান্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে নিয়ে এই মূল্যায়ন করা হবে।।এই দফায় যে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি মূল্যায়নের তালিকায় ছিল তার মধ্যে জেলার পুরসভা পরিচালিত স্বাস্থ্য কেন্দ্র ছিল ১৭টি, যার মধ্যে শান্তিপুর পুরসভা পরিচালিত আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টার (৩) ৯৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে জেলার মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
শান্তিপুর পুরসভা সূত্রে জানাগেছে, শান্তিপুর শহরে পুরসভা পরিচালিত ছয়টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। আরও তিনটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র অনুমোদিত হয়েছে। তার নির্মাণ কাজ চলছে। বর্তমানে যে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি রয়েছে সেখানে সাধারণ রোগ ব্যাধির চিকিৎসার পাশাপাশি প্রসূতি এবং নবজাতকদের টিকাকরণ, শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ করা হয়ে থাকে। সেখানে চিকিৎসক ছাড়াও অন্য স্বাস্থ্য কর্মীরাও রয়েছেন। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, এই স্বীকৃতি আগামী দিনে আরো ভালো কাজ করার উৎসাহ জোগাবে কর্মীদের।
শান্তিপুরের পুর প্রধান সুব্রত ঘোষ বলেন, “স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। আমাদের আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টার গুলিতে চিকিৎসা এবং শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। আর এই স্বীকৃতি পেয়ে বেশ ভালো লাগছে।” অন্যদিকে আশা কর্মীদের জন্যে রাজ্য সরকার নতুন কিছু চিন্তাভাবনা করছে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।