সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ৯ ফেব্রুয়ারি: হাতি উপদ্রুত এলাকায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছনোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বন বিভাগ। এর জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগের বড়জোড়া বেলিয়াতোড়, গঙ্গাজলঘাঁটি ও সোনামুখী রেঞ্জের জঙ্গলে হাতির একটি বিশাল দল ঘাঁটি গেড়েছে। বড়জোড়া, বেলিয়াতোড় এলাকায় ৬৩টি বুনো দাঁতাল অবস্থান করছে। পাশাপাশি ৪টি দলছুট হাতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গঙ্গাজলঘাঁটি ও সোনামুখী রেঞ্জ এলাকায়। এই অবস্থায় সোমবার থেকে শুরু মাধ্যমিক পরীক্ষা। হাতি উপদ্রুত জঙ্গল এলাকার গ্রামগুলি থেকে পরীক্ষার্থীরা কিভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছবে সে চিন্তায় অভিভাবকরা আশঙ্কিত রয়েছেন বেশ কিছুদিন ধরে।
এনিয়ে বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগের ডিএফও দেবাশিস মহিমাপ্রসাদ প্রধান ও অন্যান্য আধিকারিকদের সাথে জরুরি বৈঠক করেছেন বড়জোড়ার বিধায়ক অলক মুখার্জি। তিনি বলেন, তার বিধানসভার অধিকাংশ গ্রাম- গুলি হলো হাতিদের বিচরণ ক্ষেত্রের নাগালের মধ্যে। জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যাতায়াত করতে হয় বাসিন্দাদের। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে এবং নির্ভয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারে এবং পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরতে পারে তার সুব্যবস্থা বন দফতরকেই করতে হবে।
ডিএফও জানিয়েছেন, বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগের জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলি থেকে পরীক্ষার্থীদের নিয়ে যাওয়া এবং আসার জন্য চার চাকা গাড়ির ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়াও আমাদের বিশেষ যান ঐরাবত পুরো এলাকায় নজরদারি চালাবে। পাশাপাশি জঙ্গলের ভিতরের রাস্তাগুলিতে তাদের বিশেষ টহলদারি টিম এবং হুলাপার্টির কর্মীরা এলাকা তদারকি করবে, যাতে পরীক্ষার্থীরা কোনো অসুবিধায না পড়ে। বন দফতর থেকে জানানো হয়েছে, পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য হাতে সময় নিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে।
বিধায়ক অলক মুখার্জি বলেন, বন দফতর ছাড়াও দলীয় স্বেচ্ছাসেবকদের মোটর বাইক নিয়ে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। প্রতি গ্রামে, বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে এবং পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতেও বিধায়কের স্বেচ্ছাসেবী টিম মোতায়েন থাকবে সাহায্যের জন্য।