আমাদের ভারত, ৯ ফেব্রুয়ারি: প্রয়াগরাজে পূন্য কুম্ভস্নান সারতে যাচ্ছেন কোটি কোটি মানুষ। এমনকি পাকিস্তান থেকেও পুন্যার্থী এসেছেন অমৃত স্নানের জন্য। আজ সপরিবারে প্রয়াগরাজে পৌঁছে পুন্যস্নান করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একই সঙ্গে আজ তিনি আর জি কর- এর নির্যাতিতার জন্য তর্পণও করেন ত্রিবেণীতে দাঁড়িয়ে।
১৪৪ বছর পর এই মহাযোগ এসেছে এবার। তাই এটি মহাকুম্ভ। সারা দেশ, এমনকি বিদেশ থেকেও কোটি কোটি মানুষের সমাগম হচ্ছে প্রয়াগরাজে। মৌনি অমাবস্যায় এই প্রবল ভিড়ের কারণে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে বেশকিছু পুন্যার্থীর। তাই আয়োজকদের তরফে ভিআইপিদের ওই বিশেষ তিথির দিনগুলো বাদ দিয়ে কুম্ভ স্নান করতে আসার অনুরোধ করা হয়েছে। সেই মতো নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ থেকে শুরু করে বিজেপির হেভিওয়েট নেতারা বেশিরভাগ বিশেষ তিথি ব্যাতিরেকে কুম্ভ স্নানে যাচ্ছেন। সেই রীতি অনুসরণ করে আজ রবিবার সপরিবারে কুম্ভ স্নান করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে আজকের দিনটা অন্য আরও একটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, অভয়া বোনের আজ জন্মদিন। সেই উপলক্ষে আজ প্রয়াগরাজে সপরিবারে পূণ্যস্নান করেছেন ও আর জি কর- এর নির্যাতিতার স্মৃতিতে তর্পণ করেছেন তিনি। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে সঙ্গমে ডুব দেন সুকান্ত মজুমদার। আর জি কর- এর নির্যাতিতার কথা স্মরণ করে প্রয়াগে যেখানে মেলা হচ্ছে সেখানে সুকান্ত ও তাঁর দুই মেয়ে একটি বৃক্ষরোপণ করেন। আমের চারাগাছ লাগান তারা। তিনি বলেন, অভয়ার আত্মার শান্তির জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছেন। এই বৃক্ষটির মাধ্যমে প্রয়াগ যতদিন থাকবে অভয়াও প্রয়াগে থাকবে।
আর জি কর- এর নির্যাতিতার পরিবারের উদ্দেশ্যে সুকান্ত মজুমদার বলেন, নির্যাতিতা বিচার পাবেই। আমি তার মা-বাবার উদ্দেশ্যে বলতে চাই, ন্যায় বিচারের জন্য আমাদের লড়াই চলতেই থাকবে।
আর কি কর- এর নির্যাতিতার আজ ৯ ফেব্রুয়ারি জন্মদিন। তার মা জানিয়েছেন, আজ তার ৩২- এ পা দেওয়ার কথা ছিল। তিনি ভীষণ গাছ পছন্দ করতেন, প্রত্যেক বছর গাছ লাগাতেন। এবছর মেয়ে না থাকলেও তারা গাছ লাগাবেন। মেয়ে বলেছিল সব রঙের বগনভেলিয়া থাকলেও কমলা নেই, তাই তার কথা মনে রেখে তার বাবা কমলা বগনভেলিয়া এনেছেন। অভয়া মায়ের হাতের গুড়ের পায়েস খেতে ভালোবাসত। তার মা জানিয়েছেন, আর কোনো দিন তিনি গুড়ের পায়েস রান্না করবেন না। এত দিন তারা মেয়ে ইচ্ছেপূরণ করতে তাকে চিকিৎসক তৈরি করতে লড়াই করেছেন। এখন থেকে তারা ন্যায় বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।