পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ সেপ্টেম্বর: ধীরে হলেও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে ডেবরায়। যদিও এখনও জলমগ্ন হয়ে রয়েছে ডেবরা ব্লকের মলিঘাটি ও গোলগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা। গত শুক্রবার দিনও নৌকায় করে এই দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় খাবার পৌঁছে দিতে হয়েছে। চালু রয়েছে কমিউনিটি কিচেন।
তবে জল একেবারে নেমে গিয়েছে লোয়াদা-ষাঁড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। আর ধীরে হলেও জল নামছে ভবানীপুর ও ভরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন জলমগ্ন এলাকা থেকে। যদিও এখনও জল রয়েছে ভবানীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হৈনানপুর, শ্যামনগর, দুর্লভচক, রঘুনাথপুর, ভাঙ্গাবাঁধ, বৈকুণ্ঠপুর, নরহরিপুর সহ বেশ কয়েকটি এলাকায়। ভরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহাদুরপুর, জগন্নাথপুর, ভরতপুর, বলভদ্রপুর এলাকায় এখনও জল জমে রয়েছে। ফলে এই চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু মানুষ এখনও ত্রাণ শিবিরগুলিতে রয়েছেন।
ডেবরার বিডিও প্রিয়ব্রত রাড়ি বলেন, “পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে মলিঘাটি ও গোলগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি এলাকা এখনও জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বত্র খাবার বিলি করছি। তার সঙ্গে ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে যদি আর বৃষ্টি না হয় তাহলে আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকেই পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।
এদিকে এই বন্যার কবলে পড়ে জলমগ্ন চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে এই বন্যায় এই চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশকিছু রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। যদিও এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়নি।
আজ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে ডেবরা ব্লকের ৭ নং অঞ্চলের নরহরিপুর গ্ৰামে কয়েক হাজার বন্যা দুর্গতদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আজ মেদিনীপুর পৌরসভা থেকে ত্রিপল, খাদ্য সামগ্রী সহ নানান ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান, পৌরসভার সিইসি সৌরভ বসু, সুসময় মুখার্জি সহ অন্যান্য পৌর আধিকারিকরা।