Patrasayar, TMC, শ্মশানের দখল নিয়ে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের সংঘর্ষ, পাত্রসায়েরে প্রহৃত তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি

সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ৬ফেব্রুয়ারি: একটি শ্মশানের দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ, ঘটনায় তৃণমূলের স্হানীয় অঞ্চল সভাপতি প্রহৃত হওয়ায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের ব্লকের কাটোরা ও লালবাঁধ এলাকায়। এই দুই গ্রামের মাঝে থাকা একটি শ্মশানের দখলকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বোমাবাজি করেন বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের মারে গুরুতর জখম হয়ে অঞ্চল সভাপতি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে খণ্ডঘোষে এবং পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাত্রসায়ের ব্লকের বেলুট রসুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাটোরা ও লালবাঁধ গ্রামের মাঝে থাকা শ্মশানটি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করে আসছেন দুই গ্রামের মানুষ। অভিযোগ, বেলুট, রসুলপুর এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি তাপস বারি লোকজনকে নিয়ে শ্মশানের জায়গা দখল করার চেষ্টা করেছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, লালবাঁধ গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দাকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার ওই তৃণমূল নেতা কাটোরা গ্রামে হামলা চালায়। কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বুধবার সকালে ফের সেই জায়গার দখলদারি নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ, ওই তৃণমূল নেতা বোমাবাজি করে জোর করে জায়গাটি দখল করার চেষ্টা করে। সেই সময় কাটোরা গ্রামের মানুষ রুখে দাঁড়ায়। দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হলে গুরুতর জখম হন তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি তাপস বারি। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে প্রথমে খন্ডঘোষ হাসপাতালে ও পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই সংঘর্ষের যাবতীয় দায় ওই তৃণমূল নেতার বলে দাবি করেন কাটোরা গ্রামের মানুষ।

অন্যদিকে আহত তৃণমূল নেতা তাপস বারির বক্তব‍্য, ওই জমিটি যাদের, সেই চাষিরাই জায়গাটি দখল করতে গিয়েছিল। তাদের ডাকেই ঘটনাস্থলে
গিয়েছিলেন তিনি। শুধু বাধা দেওয়া গ্রামবাসীদের তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন মাত্র। তার জেরেই সশস্ত্র আক্রমণ হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *