Body, Birbhum, সাত সকালে ঘর থেকে উদ্ধার মা ও ছেলে- মেয়ের দেহ, চাঞ্চল্য বীরভূমে

আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, সিউড়ি, ২১ ফেব্রুয়ারি: সাতসকালে ঘর থেকে উদ্ধার আদিবাসী পরিবারের ৩ সদস্যের দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে খুনের আভাস মিলেছে। কারণ মৃতদের মাথায় মিলেছে আঘাতের চিহ্ন। ঘটনাটি ঘটেছে, বীরভূমের মহম্মদবাজার ও মল্লারপুর থানার সীমানায় থাকা ম্যানেজার পাড়ায়। সেখানে থাকতেন লক্ষ্মী মাড্ডি (২৫)। দুই সন্তান রূপালী (১০) ও অভিজিৎ (৮)-কে নিয়ে থাকতেন তিনি। তাঁর স্বামী লালু কর্মসূত্রে দুর্গাপুরে থাকেন।

শুক্রবার সকালে প্রতিবেশীরা বাড়ির মধ্যে তিনজনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। প্রতিবেশীরা ভিতরে গিয়ে দেখেন, ঘরের খাটিয়ার উপর পড়ে লক্ষ্মী। রূপালীর দেহ কম্বল জড়ানো। খাটিয়ার নিচে পড়েছিল অভিজিতের দেহ। তিনজনের মাথাতেই মিলেছে আঘাতের চিহ্ন। প্রতিবেশীরাই থানায় খবর দেয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়েন পুলিশ আধিকারিকরা। স্থানীয়দের দাবি, তিনজনকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা জড়িত তাঁদের গ্রেপ্তার করতে হবে, নাহলে দেহ উদ্ধার করতে দেওয়া হবে না। রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।

মৃতদের নিকট আত্মীয় মহারানী মাড্ডি বলেন, “আমার বউমা কাজে যাওয়ার জন্য ডাকতে গিয়ে মৃতদেহ দেখতে পায়। খুন করা হয়েছে। পুলিশ কুকুর দিয়ে তদন্ত করাতে হবে”।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বিজেপির বীরভূম জেলা সাংগঠনিক সভাপতি ধ্রুব সাহা। তিনি বলেন, “গোটা রাজ্য অপরাধীদের স্বর্গ রাজ্যে পরিণত হয়েছে। দুষ্কৃতীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশুরাও। তাদের হত্যা করা হচ্ছে। আমরা ঘটনার পূর্নাঙ্গ তদন্ত চাইছি”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *