জয়দীপ রায়
আমাদের ভারত, অমৃতসর, ১০ ডিসেম্বর:
“বিনা সংস্কার নাহী সহকার, বিনা সহকার নাহী উদ্ধার,” মূলত এই মন্ত্রকে পাথেয় করে প্রবল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হল সহকার ভারতীয় ৮ তম জাতীয় সম্মেলন। গত ৬ নভেম্বর পাঞ্জাবের অমৃতসরের রেলওয়ে কলোনি গ্রাউন্ডে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তিন দিনের এই অধিবেশনে দেশের প্রত্যেক রাজ্য থেকে প্রায় ৩০০০ হাজার প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। শেষ হয় ৮ নভেম্বর।
উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রচারক লক্ষ্মণরাও ইনামদারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় সহকার ভারতী। এই সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য সমাজের আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা দলিত, গরিব ও বঞ্চিত মানুষদের বিশেষ করে মহিলাদের সমবায়ের মাধ্যমে সশক্তিকরন করা।
পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অধিবেশনের সূচনা করেন সংগঠনের রাষ্ট্রীয় অধ্যক্ষ দীননাথ ঠাকুর। তিন দিনের এই অধিবেশনে পর্যাক্রমে উপস্থিত ছিলেন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের কেন্দ্রীয় সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসবলে, কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি, পাঞ্জাবের রাজ্যপাল গুলাবচন্দ কাটারিয়া, গুজরাটের বিধানসভার স্পিকার শঙ্কর রায়চৌধুরী, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্পাদক ড. উদয় জোশি, কেন্দ্রীয় সংগঠন মন্ত্রী সঞ্জয় পাচপোর সহ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব।
দেশের অন্যান্য রাজ্য ছাড়াও শুধু পশ্চিমবঙ্গের ২৪ টি জেলা থেকে প্রায় ১৫০ জন প্রতিনিধি এবারের রাষ্ট্রীয় সম্মেলনে যোগদান করেন। এদের মধ্যে রাজ্য কমিটির ৪৯ জন এবং বাকিরা জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়াও, চা সমবায় কমিটির ৯৫ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছেন।
তিন দিনের অধিবেশনে আগামী ৩ বছরে সমবায় ক্ষেত্রে উন্নতি ও তার পরিকল্পনা করা হয় এবং ভোটাভুটির মাধ্যমে আগামী তিন বছরের জন্য কেন্দ্রীয় সমিতি ও কর্যকরিণী কমিটির গঠন ও তার ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় সমিতির পূর্ব ক্ষেত্রের ( পচিমবঙ্গ, ওড়িশা, আন্দামান ও সিকিম) সম্পাদক (সংগঠন) বিবেকানন্দ পাত্র নির্বাচিত হন। মহিলাদের সম্পাদক নির্বাচিত হন নন্দিনী রে, তন্তুবায় প্রকোষ্ঠে সহ প্রমুখ হিসেবে নির্বাচিত হন সপ্তর্ষি সিংহ রায়, এফপিও সহ প্রমুখ নির্বাচিত হন উৎপল জালান, ডিসিসিবি সহপ্রমুখ করা হয় মদনমোহন ঘোষ এবং প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রে নির্বাচিত করা হয় গোবিন্দ দাসকে। এছাড়াও, কার্যকরিণী সদস্য হিসেবে মনোনীত হন সুজাতা ব্যানার্জি, আলোক মুখার্জি, অশোক রায়, নিরুপম ব্যানার্জি এবং প্রমথ সরকার।
অধিবেশনে সহকার ভারতীর সামাজিক উপযোগিতা ও সঙ্ঘের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে আলোকপাত করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্গে সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসবলে। এছাড়াও সারা দেশে সমবায়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নানাবিধ উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করি।